সকাল ৭ টায় আচমকা চলে যায় গোটা গ্রামের ব্রডব্যান্ড, ১৮ মাস পর অদ্ভুতভাবে রহস্যোন্মচন

ওয়েলস: ক্লকওয়ার্কের মতো, প্রতি সকালে সকাল ৭টায় ওয়েলসের পুরো অ্যাবেরহসান শহরটি ব্রডব্যান্ড কানেকশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গ্রামে ১৮ মাস ধরে এই সমস্যায় জর্জরিত ছিল। কিন্তু কেন এমন হত তা কেউ জানত না। অনেক খোঁজ নিয়েও রহস্যের কুলকিনারা হয়নি। এখন জানা গেল এর পিছনে দায়ি একটি পুরানো টেলিভিশন সেট।

 

ওয়েলস: ক্লকওয়ার্কের মতো, প্রতি সকালে সকাল ৭টায় ওয়েলসের পুরো অ্যাবেরহসান শহরটি ব্রডব্যান্ড কানেকশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গ্রামে ১৮ মাস ধরে এই সমস্যায় জর্জরিত ছিল। কিন্তু কেন এমন হত তা কেউ জানত না। অনেক খোঁজ নিয়েও রহস্যের কুলকিনারা হয়নি। এখন জানা গেল এর পিছনে দায়ি একটি পুরানো টেলিভিশন সেট।

ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলা যাক। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অসংখ্য তারের প্রতিস্থাপন করে বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, ওপেনরিচ প্রযুক্তিবিদদের তদন্তে সনাক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে একটি নামহীন আবারহোসান বাসিন্দা জানেন না তাদের টিভি এমন একটি সংকেত নির্গত করে যা পুরো গ্রামের ব্রডব্যান্ড অবকাঠামোতে হস্তক্ষেপ করছে। সংযোগের ক্রমাগত ত্রুটিগুলি দ্বারা বিচলিত হয়ে প্রযুক্তিবিদরা হস্তক্ষেপের উৎস শনাক্ত করতে একটি তদারকি ডিভাইস ব্যবহার করেছিলেন। ডিভাইসটি তাঁদের ওই বাসিন্দার দিকে নিয়ে যায়। ওই বাড়ির বাসিন্দারা অজান্তেই সমস্যা তৈরি করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বিব্রত বোধ করেন তাঁরা। সেটটি আর কখনও ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভারতীয় স্যটেলাইটেও হামলা করতে চেয়েছিল চিন, মার্কিন রিপোর্টে চাঞ্চল্য

কেন সকাল ৭টাতেই এমন কাণ্ড ঘটত? কারণ ঠিক সেই সময় অজ্ঞাতনামা গৃহকর্তা তাঁদের টিভির সুইচ অন করতেন। ফলে তাঁর অজান্তেই গ্রামের ব্রডব্যান্ড প্রভাবিত হত। দুর্ভাগ্যক্রমে অন্যান্য বাসিন্দাদের জন্য এসব জানতে ১৮ মাস সময় লাগে। একটি বর্ণালী বিশ্লেষক হিসাবে পরিচিত বিশেষ মনিটর এই সমস্যার কারণ হিসেবে “বৈদ্যুতিক গোলমাল”কে চিহ্নিত করে। এর পর থেকে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। ওপেনরিচ ইঞ্জিনিয়ার মাইকেল জোনস বিবিসিকে বলেছেন, “আমাদের ডিভাইসটি গ্রামে বৈদ্যুতিক হস্তক্ষেপের একটি বড় ফাটল ধরেছে। প্রতিদিন সকাল ৭টায় ওই বাড়ি থেকে পুরানো টিভিটি সুইচ অন করলেই পুরো গ্রামের ব্রডব্যান্ড কানেকশন কেটে যেত।” ওয়েলসের ওপেনরিচ ইঞ্জিনিয়ারিং লিড সুজান রাদারফোর্ড যুক্ত করেছেন, “আমরা জনসাধারণকে কেবল তাদের বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সঠিকভাবে দেখে নেওয়ার আবেদন করছি এবং বর্তমান ব্রিটিশ মানদণ্ডের সঙ্গে মেলে এমন যন্ত্র যাতে ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + 13 =