বস্টন: ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের প্রায় ১৩ হাজার গভীরে গিয়েছিল সাবমারসিবেল টাইটান। ‘ওশানগেট’ সংস্থা এই অভিযানের দায়িত্বে ছিল। তারাই এই ধরনের ‘টাইটানিক ট্যুর’ করায়। কিন্তু সম্প্রতি সংস্থারই এক সাবমারসিবেল ধ্বংস হয়েছে। তাতে থাকা ৫ যাত্রীর প্রাণ খোয়াতে হয়েছে, যার মধ্যে ছিলেন সংস্থার সিইও নিজেও। কিন্তু এই ঘটনা থেকেও শিক্ষা নিচ্ছে না বিতর্কিত ওই সংস্থা। তারা আবার টাইটানিক অভিযানের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। ২০২৪ সালে আবার এই অভিযান শুরু করতে চলেছে তারা।
১৮ জুন জলের তলায় ডুব দেওয়ার পর আর ভেসে ওঠেনি টাইটান। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘ইমপ্লোশন’ হওয়ার কারণে ধ্বংস হয়েছে এই সাবমারসিবেল। আগেই অভিযোগ উঠেছিল যে, টাইটানকে আটলান্টিকের অত গভীরতায় পাঠানোর আগে সেইভাবে সুরক্ষার ওপর জোর দেয়নি সংস্থা। ডুবোযানটির প্রস্তুতিতেও খামতি ছিল। তাই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে সেইসব বিষয়ে আপাতত আর পাত্তাই দিচ্ছে না। ‘ওশানগেট’। সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে পরপর দু’টি টাইটানিক অভিযানের আয়োজন করতে চলেছে তারা। ১২ থেকে ২০ জুন প্রথম অভিযান, ২১ থেকে ২৯ জুন দ্বিতীয় অভিযান। এবারেও টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে ২ কোটি টাকার কিছু বেশি।
বিষয় হল, যে সময়ে এই অভিযানের ঘোষণা করা হয়েছে সেই সময় আটলান্টিকের পরিবেশ একদমই অনুকূল থাকে না। বরং খুবই বিপজ্জনক হয়। তাই সেই সময়ে আবার কেন এই অভিযানের বিজ্ঞাপন, তাই নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সংস্থাকে নানাভাবে তিরস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু তারা পিছিয়ে যেতে রাজি নয়। এদিকে সম্প্রতি টাইটান ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের ওপরে তোলা সম্ভব হয়েছে। শোনা গিয়েছে, এর মধ্যে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু দেহাবশেষের। অনুমান, সেগুলি মানবদেহের টুকরো! আপাতত এই নিয়ে পরীক্ষা চলছে।