ওয়াশিংটন: গোটা বিশ্বজুড়ে বিতর্কের পর অবশেষে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতি হিসাবে ১৭ বছরের কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গকে ২০২০ সালের নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে৷ নোবেল কমিটির তরফে গ্রেটা থুনবার্গকে চিঠি পাঠিয়ে এবিষয়ে তথ্য জানানো হয়েছে৷ চাওয়া হয়েছে তাঁর অনুমতি৷
জানা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার স্বীকৃতি হিসাবে গ্রেটা থুনবার্গকে নোবেল দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন দুই সুইডিশ আইনজীবী৷ পরিবেশের জন্য লড়াই নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কারণে ১৭ বছরের তরুণীকে পুস্কার দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করছে নোবেল কমিটি গ্রেটা চিঠি পাঠিয়ে তাঁর অনুমতি চেয়েছে৷
নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের ছাড়পত্র দেওয়ার পর নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘গ্রেটা একজন জলবায়ু কর্মী৷ তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কারের প্রাপ্য৷ তার মূল কারণ হল, এত অল্প বয়সে তিনি যে ভাবে জলবায়ু সংকট নিয়ে রাজনীতিবিদদের চোখ খুলতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তার জন্য এই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত৷ জলবায়ু সংকট এখন বিশ্বের কাছে বড় বিপদ৷’’
যদিও গতবছর এই গ্রেটা থুনবার্গকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়নি৷ খারিজ করা হয়েছিল তাঁর নাম৷ পরে নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিকল্প নোবেল ‘রাইটস লাইভলিহুড’ পুরস্কারে ভূষিত করা হল তাঁকে৷ গ্রেটা সহ আরও চারজনকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়৷ পরিবেশ রক্ষার লড়াই করার জন্য এই কিশোরীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে পরিবেশ রক্ষার অবদানের জন্য৷ ১৯৮০ সাল থেকে এই সংস্থাটি দিয়ে আসছে পরিবেশ ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে৷
নোবেল কমিটিকে পরিবেশ সংক্রান্ত দুটি বিভাগ যোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ তবে নোবেল কমিটি আহ্বান বাতিল করে দেওয়ার পর থেকে এই পুরস্কার চালু করে এই সংস্থা৷ পুরস্কার পেয়ে গ্রেটা জানিয়েছেন, এই সম্মানের অধিকারী হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ৷ তবে অবশ্যই এই পুরস্কারের ভাগীদার একা আমি নই৷ বিশ্বব্যাপী তরুণ কিশোরী, স্কুলপড়ুয়া সব বয়সী মানুষ, যাঁরা তাঁদের বাসস্থান পৃথিবীকে রক্ষা করার আন্দোলন করছেন, আমি তাঁরে তাদের হয়ে পুরস্কার নিলাম৷ এদিন তাকে এক লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা তুলে দেওয়া হয়৷