স্টকহোম: সারা বিশ্ব যখন লকডাউনের পথে হেঁটেছিল, তখন স্বাভাবিক ছিল সুইডেন। খোলা রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, পাব, অফিস আদালত। তবে সামাজিক দুরত্বের পাশাপাশি কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়েছিল সুইডেন। কিন্তু এখন সেই সুইডেন কেমন আছে?
গত ১৩ মে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৭ জন। মারা গিয়েছেন ১৪৭ জন। করোনায় সুইডেনে ২৭,৯০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৩৪৬০ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা বা আক্রান্তের সংখ্যা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম। সুইডেন প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল। প্রথম থেকেই সরকারের লক্ষ্য ছিল, লকডাউন না করে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রেখে কী করে করোনার মোকাবিলা করা যায়। সুইডেন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত ও মৃতে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে। সুইডেনের করোনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, বেশিরভাগ ৭০ বছরের ওপর।
সুইডেন জানায়, ইউরোপের দেশগুলো সতর্ক হওয়ার অনেক আগেই সুইডেন সতর্ক হয়েছিল। সামাজিক মেলামেশায় কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছিল। রেস্তোরাঁ, পাবগুলোতে নির্দিষ্ট সংখ্যক অতিথির বাইরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, তাঁরা যেন অফিসে না আসেন। খুব প্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। ফলে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকত। ভিড় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু সুইডেনে লকডাউন করতে হয়নি। সুইডেন হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছিল। অন্যান্য সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছিল।
কিন্তু তারপরেও সুইডেনের অবস্থা ইতালি, স্পেন বা ফ্রান্সের মতো হয়নি। ব্রিটেন ও জার্মানিও করোনায় কাবু হয়ে গিয়েছিল। সুইডেন একটি মাত্র দেশ, যে দেখিয়ে দিল, ইউরোপের মতো জনঘনত্বে থেকেও শুধু সচেতনতা দিয়ে লকডাউন ছাড়াও বাঁচা যায়। করোনার মোকাবিলা করা যায়।