হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে নওয়াজ শরিফের জামাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ

কার্যত দরজা ভেঙে পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা নওয়াজ শরিফের জামাইকে সোমবার গ্রেফতার করল পুলিশ। দলের সহ সভাপতি ও নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়াম অভিযোগ করেছেন পুলিশ করাচিতে তার হোটেলের ঘরে প্রবেশ করেছে এবং তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাইয়ের নাম ক্যাপ্টেন (রিটায়ার্ড) মুহাম্মদ সাফদার।

ইসলামাবাদ: কার্যত দরজা ভেঙে পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা নওয়াজ শরিফের জামাইকে সোমবার গ্রেফতার করল পুলিশ। দলের সহ সভাপতি ও নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়াম অভিযোগ করেছেন পুলিশ করাচিতে তার হোটেলের ঘরে প্রবেশ করেছে এবং তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাইয়ের নাম ক্যাপ্টেন (রিটায়ার্ড) মুহাম্মদ সাফদার।
রবিবার বন্দর নগরীতে সরকারবিরোধী একটি বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মরিয়ম। বলেন, “আমি করাচিতে যে হোটেলে থাকছিলাম, সেখানে পুলিশ আমার ঘরের দরজা ভেঙে ক্যাপ্টেন সাফদারকে গ্রেফতারর করেছিল।” তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ যখন তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করতে এসেছিল তখন তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মন্ত্রী আলি জায়েদি অবশ্য তাঁর এই দাবি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “মরিয়ম আবারও মিথ্যে কথা বললেন। উনি বললেন যে হোটেলের দরজা ভাঙা হয়েছে।” সাফদারকে আজিজ ভাট্টি থানায় রাখা হয়েছে। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (পিডিএম) দ্বিতীয় সমাবেশের আগে কায়দের সমাধিতে স্লোগান দেওয়ার একদিন পর তাকে গ্রেফতার করা হল। ১১ বিরোধী দলের জোটের সমাবেশ ছিল সেটি। মনে করা হচ্ছে যে সাফদারকে আদালতে হাজির করা হবে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মারিয়াম, সাফদার এবং আরও ২০০ জনের বিরুদ্ধে কায়দের সমাধিস্থল লঙ্ঘনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগকারী ওয়াকাস আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে পিএমএল-এন নেতারা তাদের ২০০ জন অনুসরণকারীকে নিয়ে কায়েদের সমাধিতে গিয়েছিলেন। সেখানে সাফদার চারপাশের গ্রিলের উপরে নাকি লাফালাফি করছিলেন। অভিযোগকারী বলেছিলেন যে তিনি এই কাজ করা থেকে তাকে বিরত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সাফদারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এরপর সাফদার ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে হুমকি দেন যে তারা তাঁকে খুন করবে। রিপোর্টে এই অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগে এও বলা হয়েছে যে পরে সাফদার তার অনুসারীদের সঙ্গে এলাকা ছাড়ার আগে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেন। অভিযোগকারী বলেন, “সাফদার ও তার সহযোগীদের কায়দের সমাধির পবিত্রতা লঙ্ঘন করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে সমাধি কমপ্লেক্সের ভিতরে রাজনৈতিক স্লোগান উত্থাপন, আমার বিরুদ্ধে মৃত্যুর হুমকি এবং সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য একটি মামলা দায়ের করা উচিত।”

 

null

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − four =