পর্বতশৃঙ্গে চোখ ধাঁধানো রঙের সমাহার! নাসা ছবিতে স্বর্গীয় অনুভূতি

পর্বতশৃঙ্গে চোখ ধাঁধানো রঙের সমাহার! নাসা ছবিতে স্বর্গীয় অনুভূতি

ওয়াশিংটন: লক্ষ লক্ষ বছর আগে ভূগর্ভস্থ পাতের সঞ্চালনের ফলে তৈরি হয়েছিল অ্যান্টি আটলাস পর্বতশ্রেণী। উত্তর আমেরিকার মরোক্কো দেশের এই পর্বতশ্রেণীকে আফ্রিকার আটলাস পর্বতেরই বিচ্ছিন্ন অংশ বলে মনে করা হয়। এদিন এই অ্যান্টি আটলাসেরই এক অপূর্ব ছবি প্রকাশ্যে আনল ন্যাশানাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) বা নাসা।

মরোক্কো দেশের অ্যান্টি আটলাস পর্বতশ্রেণী ছবি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নাসা। তাঁদের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবি প্রকাশ করা হয়। দক্ষিণ পশ্চিম মরোক্কোর ৭০৮ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পর্বতমালায় যে অসাধারণ রঙের সমাবেশ ঘটেছে, তা নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়েছেন সকলেই।

নাসা প্রকাশিত এদিনের এই ছবিতে দেখা গেছে কিছু অবিশ্বাস্য রকমের উজ্জ্বল রঙের সমাহার। এই রং সাধারণ ভাবে মানুষের চোখে পড়ে না। ইনস্টাগ্রামে এই ছবি শেয়ার করে তার সঙ্গে নাসার তরফ থেকে লেখা হয়েছে অ্যান্টি আটলাস পর্বতশ্রেণীর ইতিহাস। ওই পোস্ট অনুযায়ী, আজ থেকে প্রায় ৮ লক্ষ বছর আগে ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল এক ভয়াবহ ভূ-আলোড়নের। তার ফলেই তৈরি হয়েছিল এই অ্যান্টি আটলাস পর্বতশ্রেণী। ওই ভূ-আলোড়নে টেথিস মহাসাগরটিও কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে নাসা।

নাসা প্রকাশিত ওই ছবিতে মূলত অ্যান্টি আটলাস পর্বতশ্রেণীর নানা ধরণের পাথরের স্তরকে দেখানো হয়েছে। পাথরের বিভিন্নতার কারণেই এত রঙিন এই পর্বত, জানিয়েছে নাসা। সূত্রের খবর, এই পর্বতে রয়েছে লাইমস্টোন, বেলেপাথর, মাটি পাথর এবং জিপসাম। এখনও পর্যন্ত নাসার এই ছবি ৫ লক্ষের বেশি মানুষ পছন্দ করেছেন। ছবির নীচের কমেন্ট বাক্সে মুগ্ধতাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। কেউ বলেছেন, “অসাধারণ সুন্দর এবং রঙিন ছবি।” আবার কেউ বলেছেন, “এটি সত্যিই একটি অসাধারণ শিল্পের নমুনা।” কেউ কেউ নাসার এই পোস্টটির শিক্ষামূলক গুরুত্বও অনুধাবন করেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − three =