রহস্যময় বস্তু বিপুল বেগে ধেয়ে আসছে! মহাপ্রলয়ের মুখে পৃথিবী?

কলকাতা: নাসার প্রজেক্ট ‘ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯’ এর সঙ্গে যুক্ত একদল বিজ্ঞানী একটি রহস্যময় বস্তু আবিষ্কার করেছেন। যার নামকরণ করা হয়েছে বিশাল এক সংখ্যার দ্বারা।সিডব্লিউআইএসসিজে…

কলকাতা: নাসার প্রজেক্ট ‘ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯’ এর সঙ্গে যুক্ত একদল বিজ্ঞানী একটি রহস্যময় বস্তু আবিষ্কার করেছেন। যার নামকরণ করা হয়েছে বিশাল এক সংখ্যার দ্বারা।সিডব্লিউআইএসসিজে ১২৪৯ ।

এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কক্ষ থেকে যে কোনও সময় বেরিয়ে এটা ছায়াপথের মাঝের অংশে চলে আসতে পারে। কিন্তু বস্তুটা আসলে কী?

নাসার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বাদামি বামন গ্রহের পর্যায়ে এটাকে ফেলা যায়নি। কারণ বামন গ্রহের তুলনায় অনেক কম লোহা এবং অন্যান্য ধাতু এতে রয়েছে। তাছাড়া বেশির ভাগ পরিচিত গ্রহ-নক্ষত্রেরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আকাশগঙ্গার কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে। এই বস্তুটাই কক্ষ ছেড়ে ছিটকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। সেক্ষেত্রে নাসা মনে করছে, মূলত শক্তিশালী সুপারনোভা বিস্ফোরণের ফলে আরও একটি সাদা বামন গ্রহের সঙ্গে জন্ম নিয়েছিল সিডব্লুউআইএসসিজে ১২৪৯। আর একটি সম্ভাবনার কথাও নাসা জানিয়েছে। নাসার মতে, ‘গ্লোবিউলার ক্লাস্টার’ নামের নক্ষত্রপুঞ্জের সঙ্গে একজোড়া কৃষ্ণগহ্বরের সংঘর্ষ থেকেও সৃষ্টি হতে পারে এটির।

এখন প্রশ্ন হলো, এই প্রবল গতিবেগ নিয়ে সিডব্লিউআইএসসিজে ১২৪৯ কি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসতে পারে? এমন কোনও আশঙ্কার কথা শোনায়নি নাসা। তবে এই রহস্যময় বস্তু নিয়ে আরও নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা।