পেট তো নয়, যেন ‘জয়ঢাক’! ১৯ কেজির পেট নিয়ে নাজেহাল এই মহিলা

পেট তো নয়, যেন ‘জয়ঢাক’! ১৯ কেজির পেট নিয়ে নাজেহাল এই মহিলা

e25071d75bacdae2634a0681f3563e44

 

বেজিং: এ যেন পেট নয়৷ বৃহদাকার এক বেলুন! ক্রমেই যার আকার বেড়ে চলেছে৷ পেটের জ্বালায় জীবন হয়ে উঠেছে দূর্বিসহ৷ 

দুই সন্তানের মা হুয়াং গুওসিয়ান এখন এক বিরল রোগে আক্রান্ত৷ তাঁর শরীরের ওজন ১২১ পাউন্ড৷ এর মধ্যে শুধুমাত্র তাঁর পেটের ওজন ৪৪ পাউন্ড৷ যা সম্পূর্ণ শরীরের ওজনের প্রায় ৩৬ শতাংশ৷ দুই বছর আগে এই সমস্যার সূত্রপাত৷ তবে থেকে একটু একটু করে ফুলছে তাঁর পেট৷ বৃদ্ধির কোনও বিরাম নেই৷

প্রথম যখন এই সমস্যা দেখা দেয়, তখন অহস্য পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে চিকিৎসকের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন চিনের বাসিন্দা গুওসিয়ান৷ সেই সময় ওষুধ-পথ্য দিয়ে তাঁর পেটের যন্ত্রণা কমানো গেলেও, ফোলা কমানো সম্ভব হয়নি৷ তবে থেকে এখনও একটু একটু করে বেড়ে চলেছে তাঁর পেটের আয়তন৷ 

আরও পড়ুন- মৃত্যুপুরীর মাঝেও ৩ সদ্যোজাতকে বুকে আগলে ‘অ্যাঞ্জেল’ হয়ে উঠলেন নার্স

7aae3c69091eb405785be177e01fac05

পেটের সমস্যা নিয়ে আনসুং-এর একাধিক হাসপাতালে গিয়েছেন গুওসিয়ান৷ কিন্তু কোনও চিকিৎসকই তাঁকে সুস্থ করতে পারেননি৷ অবশেষে এক চিকিৎসক জানান, তিনি এই বিরল রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন৷ এর জন্য খরচ হবে ৪,৩২০ মার্কিন ডলার৷ কিন্তু এত টাকা পাবেন কোথায়? তাই অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন হুয়াং গুওসিয়ান৷ অর্থ সংগ্রহের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷ গুওসিয়ান আশাবাদী, এই টাকা পেলে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারবেন তিনি৷ আগের মতোই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন৷ এর আগে চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, লিভার সিরোসিস, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার, টিউমার এবং বুকে ও পেটে অস্বাভাবিক ভাবে জল জমেছে তাঁর৷ কিন্তু কেউই তাঁর পেট ফোলার কারণ বুঝতে পারেননি৷ 

আরও পড়ুন- করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসতে চলেছে, সতর্ক করলেন গেটস

গুওসিয়ান জানান, এই বিশালাকার পেটের জন্য তিনি ঠিক মতো ঘুমাতে, হাঁটতে এমনকী বাচ্চাদের যত্ন নিতেও পারেন না৷ এই রোগের জ্বালায় মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়ছেন তিনি৷ রাস্তায় বেরলে অনেকেই তাঁকে গর্ভবতী মহিলা বলে ভুল করেন৷ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন তিনি৷ গুওসিয়ান বলেন, ‘‘আগে বেশ চটপট কাজ করে ফেলতাম আমি৷ কিন্তু এখন এত বড় পেট নিয়ে ঠিক মতো কোনও কাজই করতে পারি না৷ আমার দুই সন্তান এখনও বেশ ছোট৷ ঠাকুমা আর দাদুই দেখাশোনা করে তাদের৷ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে চাই আমি৷ ’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *