ইতালি: মমির সিটি স্ক্যান! মমির রহস্য উদ্ঘাটন করতে গবেষণার জন্য ইতালির একটি হাসপাতালে তা পরীক্ষা করা হয়৷
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যাঁর মমির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে, তাঁর নাম আনখেখোনসু৷ প্রাচীন মিশরের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন দেবতা৷ মমিটি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ইতালির উত্তর–পূর্বাঞ্চলের শহর বেরগামোর সিভিক আর্কিওলজিক্যাল জাদুঘর থেকে সেটিকে মিলানের পলিক্লিনিকো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা পর আনখেখোনসুর জীবনধারণ এবং তিন হাজার বছর আগে তাঁকে সমাহিত করার বিষয়গুলি সামনে আসবে৷ ইতালির মিলানের পলিক্লিনিকো হাসপাতালে গবেষণা করা মমি প্রজেক্ট রিসার্চের পরিচালক সাবিনা মালগোরা বলেছেন, এক একটি মমি আক্ষরিক অর্থেই জীববিজ্ঞানের একটি জাদুঘর। গবেষণার করা জন্য এগুলো খুবই কাজের জিনিস।
মালগোরা বলেছেন, মিশরে খ্রিষ্টপূর্ব ৯০০ থেকে ৮০০, এই সময়ের মধ্য বেশ কয়েকটি কফিনের হদিশ মেলে৷ সেসব কফিনে মমির নামের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আনখেখোনসুর নামও একটি কফিন থেকেই জানা গিয়েছে৷ কফিনে তাঁর নাম পাঁচবার লেখা ছিল। তাঁর নামের অর্থ হল, ‘দেবতা খোনসু জীবিত’৷ গবেষকদের মতে, মমিটির সিটি স্ক্যান খুবই জরুরি ছিল৷ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষানিরীক্ষার ফলে মিশরের এই দেবতার জীবন ধারণ, মৃত্যু ও কী ধরনের জিনিস ব্যবহার করে তাঁর দেহটিকে মমি হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল, সেসব বিষয় জানা যাবে।
সাবিনা মালগোরা আরও বলেন, ‘প্রাচীনকালে রোগ ও অসুস্থতার বিষয়ে জানতে হলে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে গবেষণা করা জরুরি৷ অতীতের ক্যানসার ও রক্তপ্রবাহজনিত রোগের গবেষণা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি। আধুনিক গবেষণায় এটা ভীষণ হবে৷’ উল্লেখ্য, প্রাচীন মিশরে হাজার বছর আগে মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখার বিশেষ উপায়টি সত্যিই সাড়া জাগায়৷