১৫ অগাস্ট খুন হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই অগাস্টেই দেশছাড়া মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা হয়েছিল কালো অধ্যায়৷  সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত সপরিবারে হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ ধানমন্ডি ৩২-এর…

mujib hasina

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা হয়েছিল কালো অধ্যায়৷  সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত সপরিবারে হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে ঢুকে চালানো হয়েছিল হত্যালীলা। মুজিবুর রহমানের হত্যার খবর সেদিন বাংলাদেশের মানুষের উপর নেমে এসেছিল অনেকটা বজ্রপাতের মতো। ৪৯ বছর পর সেই অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে জ্বলল বিদ্রোহের আগুন৷ দেশছাড়া হলেন বঙ্গবন্ধ-কন্যা তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তাঁর বাসভবন গণভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালাল আন্দোলনকারীরা৷

সোমবার দুপুরে বোন রেহানার সঙ্গে হেলিকপ্টারে চেপে দেশ ছাড়েন হাসিনা। ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছন তিনি৷ ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে এভাবেই বোনের সঙ্গে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন মুজিবর কন্যা। তবে তখন কারণ ছিল ভিন্ন৷ হাসিনার স্বামী পেশায় পরমাণু বিজ্ঞানী৷ তিনি থাকতেন জার্মানিতে। সেখানেই পিএইচডি করছিলেন। তাঁর কাছে যাওয়ার জন্যই ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশ থেকে রওনা হয়েছিলেন হাসিনা। তখনও তিনি জানতেন না, কত বড় বিপদ ওৎ পেতে বসে রয়েছে তাঁর জীবনে। সেটাই ছিল তাঁর বাবা অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের সঙ্গে তাঁর শেষ মোলাকাত।

ঠিক ১৫ দিন পর, হাসিনা জানতে পারেন তাঁর পরিবারের উপর চালানো হয়েছে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা। সেদিন তাঁর পরিবারের ১৮ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল৷ নিহতদের মধ্যে ছিলেন হাসিনার ১০ বছরের ভাইও। এর পরের পাঁচ বছর শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত৷ জার্মানি থেকে তাঁকে এদেশে নিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। দিল্লির অভিজাত এলাকা পাণ্ডারা রোডে থাকার ব্যবস্থা হয় হাসিনা ও তাঁর পরিবারের৷ তাঁর স্বামী প্রয়াত এমএ ওয়াজেদ মিঞার  চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন ইন্দিরা। বদলে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের নাম৷ হাসিনার দুই সন্তান তখন ছোট৷ আবার সেই অগাস্ট মাস৷ ফের উত্তাল বাংলাদেশ৷ সব ছেড়ে দেশছাড়া শেখ হাসিনা৷