কাশ্মীর ইস্যুতে নীতি বদল করছেন মোদি? ট্রাম্পের মন্তব্যে উত্তাল দেশ

নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও মধ্যস্ততা চায় না ভারত৷ এই ছিল এতদিনের ভারতের পররাষ্ট্রনীতি৷ কিন্তু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ফোক দাবি ঘিরে এবার তোলপাড় দেশ৷ ঝড় উঠছে সংসদে৷ বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদে মুলতবি হয়ে গিয়েছে লোকসভা৷ ট্রাম্পের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতির দাবি তুলেছে কংগ্রেস-তৃণমূল৷ করা হয় অধিবেশন বয়কট৷ কিন্তু, হঠাৎ কী নিয়ে এত বিতর্ক? সোমবার

কাশ্মীর ইস্যুতে নীতি বদল করছেন মোদি? ট্রাম্পের মন্তব্যে উত্তাল দেশ

নয়াদিল্লি: কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও মধ্যস্ততা চায় না ভারত৷ এই ছিল এতদিনের ভারতের পররাষ্ট্রনীতি৷ কিন্তু,  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ফোক দাবি ঘিরে এবার তোলপাড় দেশ৷ ঝড় উঠছে সংসদে৷ বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদে মুলতবি হয়ে গিয়েছে লোকসভা৷  ট্রাম্পের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির বিবৃতির দাবি তুলেছে কংগ্রেস-তৃণমূল৷ করা হয় অধিবেশন বয়কট৷ কিন্তু, হঠাৎ কী নিয়ে এত বিতর্ক?

সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরা খানের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেখানে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আমেরিকা মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী দাবি করেন ট্রাম্প৷ জানান, নরেন্দ্র মোদিই নাকি  তাঁকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ করেন৷

ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক৷ কেননা, কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও মধ্যস্ততা চায় না ভারত৷ এই ছিল এতদিনের ভারতের পররাষ্ট্রনীতি৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও আমেরিকা মধ্যস্থতা করতে বলার মোদিকে ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী শিবির৷ কাশ্মীর নীতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিতেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সেই দাবি নস্যাৎ করে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন কোনও অনুরোধ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে করেননি৷ কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হলে দ্বিপাক্ষিক স্তরেই তা হবে৷ সোমবার বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, এমন কোনও অনুরোধ মোদি ট্রেম্পকে করেনি৷ এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে৷

১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিতে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মেনে নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান৷ সেই চুক্তি ও লাহৌর ঘোষণাপত্রই আলোচনার ভিত্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত৷ ফলে ট্রাম্পের মন্তব্যের জেরে এ দিন রাতে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয় দিল্লিতে৷ কংগ্রেসের শশী থারুর টুইট করেছেন, আমার মনে হয় মোদি কী বলছেন তা ট্রাম্প বোঝেননি৷ বা তাঁকে বিষয়টি ঠিক ভাবে বোঝাতে পারেননি মার্কিন কূটনীতিকেরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *