টোকিও: জাপানে চিনা মিসাইল হামলা। ৫ টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কার্যত সংঘাতে জড়িয়েছে চিন। এই পরিস্থিতির মধ্যে জাপানে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ নতুন কোনও যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত কোন পর্যায়ে রয়েছে তা সকলেই জানে। তাই অবশ্যভাবে কেউই নতুন কোনও যুদ্ধ চায় না। তবে আশঙ্কা এবং আতঙ্ক দুটোই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ন্যান্সির সফর শেষেই তাইওয়ানকে ‘বিপজ্জনক অঞ্চল’ ঘোষণা চিনের, আকাশসীমায় ঢুকল ২৭টি যুদ্ধবিমান
জানা গিয়েছে, জাপানের স্পেশাল ইকোনমিক জোনের মধ্যে গিয়ে আছড়ে পড়েছে চিনা এই ৫ মিসাইল। মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান যাওয়ার পর থেকে সেখানে উত্তেজনার পারদ বেড়েছে। ঠিক এমনই এক সময়ে এই মিসাইল নিক্ষেপ করা হল। তাইওয়ানের কাছে লাল ফৌজ মহড়া চালাচ্ছে। তখনই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হয়। যদিও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, এটা কি চিন আমেরিকাকে যুদ্ধের একটা বার্তা দিতে করল নাকি ৫ টি মিসাইল গিয়ে পড়া নিছক দুর্ঘটনা? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা কিন্তু এই নিয়ে ধন্দে পড়েছেন। কারণ সবার মনেই আতঙ্ক আরও একটা না রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যাতে তাইওয়ান সফরে না যান, তার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন৷ কিন্তু তা মানা হয়নি। চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে তাইপেইয়ের শোংশান বিমানবন্দরে অবতরণ করে ন্যান্সি এবং তাঁর সফরসঙ্গী কংগ্রেস সদস্যদের বিমান। সেই সময়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল ২১টি চিনা ফাইটার জেট৷ ওদিকে ন্যান্সির সফর শেষেই তাইওয়ানকে ‘বিপজ্জনক অঞ্চল’ ঘোষণা করে দেয় চিন। ন্যান্সির সফরের সময় চিনকে জবাব দিতে জাপান থেকে তাইওয়ানের আকাশে পৌঁছেছিল আমেরিকার যুদ্ধবিমানও। তখন থেকেই অন্য কিছুর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
আসলে তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র৷ কিন্তু, চিন তাইওয়ানকে বরাবরই তাদের দেশের অংশ হিসাবে দাবি জানিয়ে আসছে৷ সেই কারণেই তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধির সফরকে ভাল চোখে দেখছে না চিন। বুধবার বিকেলেই গোটা তাইওয়ান প্রণালীকে বিপজ্জনক অঞ্চল বলে চিহ্নিত করে বেজিং৷