ইস্তানবুল: প্রবল কম্পনের জেরে এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ তুরস্ক, সিরিয়া। দুই দেশ মিলিয়ে এই মুহূর্তে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যে দিকে তাকানো হচ্ছে লাশের পর লাশ, মৃত্যু, হাহাকার, আর্তনাদ। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক মৃতদেহ বের করে আনছে। কেউ স্বামী হারিয়েছে, কেউ স্ত্রী, কারোর গোটা পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর মাঝেও চমৎকার হয়েছে। এতকিছুর মাঝেও জীবন হেসেছে নিজের মতো।
আরও পড়ুন- চিনের ‘স্পাই’ বেলুন ঘিরে রহস্য, অবশেষে গুলি করে নামাল আমেরিকা!
কম্পনের কারণে সিরিয়ায় যে একাধিক বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে তার ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক সদ্যোজাত শিশুকে। জানা গিয়েছে, জীবিত অবস্থাতেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাকে। কিন্তু প্রকৃতির রোষে পড়ে তার বাবা-মা চলে গিয়েছে না ফেরার দেশে। তাই এখনও পর্যন্ত এই শিশুর পরিবার সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্প হওয়ার আগে শিশুটির মার প্রসব যন্ত্রণা হয়। মনে করা হচ্ছে, শিশুটির জন্মানোর মুহূর্তেই কম্পন ঘটেছিল। সেই ভূকম্প সহ্য করতে পারেননি মা। কিন্তু চমৎকারভাবে শিশুটি বেঁচে গিয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরস্কে, ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে বহু সাধারণ মানুষ! Strong earthquake hits Turkey” width=”835″>
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, দুই দেশে ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২০ হাজার। সোমবার ভোরবেলা তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রথম ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৭.৮। তার জেরে ভেঙে পড়েছিল হাজার হাজার বহুতল। এরপর আরও প্রায় ৩ বার ভূমিকম্প হয়েছে দুই দেশে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, কেন এতবার ভূমিকম্প হয় এখানে? আসলে চারটি টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত তুরস্ক। তাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলির তালিকার অন্যতম এটি।