কিয়েভ: কালো হিল জুতো পরে কুচকাওয়াজ করলেন মহিলা সৈনিকরা। না ভারতে নয়, সুদূর ইউক্রেনে৷ আর সেই কুচকাওয়াজের ছবি প্রকাশিত হতেই ইউক্রেনের তীব্র সমালেচনায় মুখর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। সম্প্রতি কিয়েভে সেনাবাহিনীর মহড়ার একটি ছবি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ্যে আসে। সেই ছবিতেই সেনার পোশাক পরা মহিলা সৈনিকদের সেনাবাহিনীর বুট না পরে কালো হিল জুতো পরে মার্চ দেখা গিয়েছে৷ এই ধরনের জুতো পরায় তাঁরা যে অভ্যস্থ নন, তা ছবি দেখেই ঠাওর করা গিয়েছে৷ আর এই নিয়েই বিশ্বজুড়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে৷
মহিলাদের এহেন জুতো পরিয়ে পদযাত্রা করতে বাধ্য করার জন্যবই ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিশ্ববাসী৷ জনপ্রিয় ধারাভাষ্যজকার ভিটালি পোর্টিনোকভ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এমন কাজকে ‘মধ্যভযুগীয় মানসিকতা’ বলে কটাক্ষ করে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘হিল পরে কুচকাওয়াজ করা খুবই অসম্মানজনক। এভাবে মহিলাদের সেনাবাহিনীতে আলাদা করে দেখা হচ্ছে।’ আর এক ধারাভাষ্যেকার মারিয়া শারপানোভা ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে মহিলারা লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। যৌনতা এবং নারীবিদ্বেষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাহিনীতে৷’
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তারই কুচকাওয়াজের মহড়াতে ব্যপস্ত ছিলেন ওই মহিলা সৈনিকরা। সেই মহড়া দেওয়ার সময়ই সেনার বুট না পরে হিল জুতো পরে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে হয় মহিলা জওয়ানদের। উল্লেখ্য, ৩০ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ইউক্রেন স্বাধীন দেশ হিসেবে গড়ে ওঠে৷ আগামী মাসে তারই বর্ষপূর্তি। এই কুচকাওয়াজ প্রসঙ্গে ওই মহড়ায় অংশ নেওয়া ক্যা ডেট ইভানা মেডভিড বলেন, ‘আজ এই প্রথম হিল জুতো পরে কুচকাওয়াজ করতে হল। সেনার জুতোর থেকে এটা অনেকটাই শক্ত। তবে আমরা এই জুতো পায়েই আরও ভালো করে মার্চ করার চেষ্টা করে চলেছি।’ এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আরও নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে ইউক্রেন সরকার।