arab countries
গাজা: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে কার্যত দু-ভাগে বিভক্ত হয়েছে বিশ্ব। আমেরিকা সহ একাধিক দেশ এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলকে সমর্থন করলেও, অন্য একটি অংশ দাপটের সঙ্গে সমর্থন করছে হামাস গোষ্ঠীকে। অধিকাংশ বিশ্ববাসীর কাছে এই হামাস, জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু একাধিক দেশের সমর্থন পেয়ে তারাও নিজেদের মনোবল দৃঢ় করে নিয়েছে। কিন্তু কেন এই বিভাজন, তার পিছনে অবশ্যভাবেই রয়েছে রাজনৈতিক কূটনীতি।
আমেরিকা ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেনের মতো দেশ হামাসের জঙ্গি কার্যকলাপের নিন্দা করে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতকেও তাদের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য একাধিক দেশও ইজরায়েলকে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। প্যালেস্তাইনপন্থীদের অবস্থান, মিছিল কিংবা বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও অন্যদিকে, ইরান থেকে শুরু করে কাতার, লেবানন, ইরাক, সিরিয়া তারা হামাস বাহিনীর ‘সঙ্গে আছে’ বলে ঘোষণা করেছে। ইজরায়েলের নিন্দা করে বলা হয়েছে, প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের জন্য যে কোনও প্রতিরোধে তাদের সমর্থন থাকবে।
লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লা তো আবার ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধও ঘোষণা করেছে হামাসের পাশে দাঁড়িয়ে। তারা এও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এটা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নয়। আমেরিকা সহ বাকি দেশ যদি এই যুদ্ধের মধ্যে ঢুকতে চায় তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবে, ফল ভালো হবে না। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আরব দেশগুলির একাংশের হামাসকে সমর্থন করা কোনও অবাক হওয়ার বিষয় নয়। কারণ তারা শুরু থেকেই ইজরায়েলি ‘আগ্রাসনে’র বিরোধিতা করে এবং প্যালেস্তাইনের জন্য গলা ফাটায়। তবে বাহরিন, সৌদি আরব আমিরশাহি, সুদান, মরক্কোর মতো আরব দেশ আপাতত ইজরায়েলের বিরোধিতায় কোনও বার্তা দেয়নি।