টেক্সাস: বিয়ের আয়োজন সারা৷ কিন্তু এরই মধ্যে বাধ সাধল মারন করোনাভাইরাস৷ বিয়ের দিন কয়েক আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন টেক্সাসের বাসিন্দা কার্লোস মুনিজ৷ সান আন্তানিও’র মেথোডিস্ট হাসপাতালে ইনসেনটিভ কেয়ারে শুরু হয় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই৷ কিন্তু মৃত্যুশয্যাতেও তাঁর হাত ছাড়েননি প্রেমিকা৷ হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই প্রেমিকা গ্রেসকে ‘আই ডু’ বললেন কার্লোস৷
আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন উৎপাদনে ভারতের অংশীদারিত্ব চাইছে রাশিয়া, কিন্তু কেন জানেন?
সম্প্রতি হাসপাতালে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই বিয়ে হয় তাঁদের৷ উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সদস্য ও তাঁদের পরিবারের লোকজন৷ দীর্ঘদিন ধরেই বছর ৪১ এর কার্লোস এবং তাঁর প্রেমিকা গ্রেসের বিয়ে ঠিক ছিল৷ বিয়ের কয়েক সপ্তাহ আগেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়েন কার্লোস৷ তাঁকে সান আন্তানিওর মেথোডিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দিনের পর দিন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় আইসিইউ-তে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা৷
বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে৷ অবশেষে করোনাকে পরাজিত করে জীবনযুদ্ধে জয়ী হন তিনি৷ কিন্তু এখনও শরীর দুর্বল তাঁর৷ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তবে করোকে জয় করার পরই প্রেমিকাকে চিরসঙ্গী করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কার্লোস৷ তবে এইভাবে প্রেমিকাকে ‘আই ডু’ বলবেন, তা হয়তো কোনও দিনই ভাবেননি তিনি৷
আরও পড়ুন- লাটে দূরত্ব-বিধি! করোনার আঁতুর ঘর উহানে দেদার ফুর্তি, অর্ধনগ্ন পুল-পার্টি
হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই কার্লোস আর গ্রেসের প্রেম কাহিনী জেনে গিয়েছিলেন চিকিৎসক-নার্সরা৷ তাঁদের বিয়ের কথাও অজানা ছিল না৷ কার্লোস একটু সুস্থ হতেই তাঁদের বিয়ের আয়োজন করে হাসপাতালের কর্মীরাই৷ ডাকা হয় রেজিস্টার ও পুরোহিতকে৷ খ্রিস্টান মতে বিয়ে হয় তাঁদের৷ একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেন কার্লোস ও গ্রেস৷ এমনভাবে বিয়ের আয়োজন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান কার্লোস৷ গ্রেসও চোখে জল নিয়ে ধন্যবাদ বলেছেন সকলকে।
তাঁদের বিয়ের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল৷ তাঁদের ভালোবাসার কাহিনী সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে৷ করোনা পরিস্থিতিতে সকলেই চারিদিকে যখন বিচ্ছেদের সুর, তখন এই ঘটনা নতুন করে বাঁচার প্রেরণা জুগিয়ে গিয়েছে৷