টোকিও: আজব শখ! যা কিনা মুখেও বলা যায় না৷ আর এহেন শখ পূরণ করতে গিয়েই শ্রীঘরে গেলেন গুণধর৷ ঘটনাটি জাপানের৷
আরও পড়ন- নীল জলরাশির মাঝে নিওন বিকিনিতে মলদ্বীপ থেকে উষ্ণতা ছড়ালেন লাস্যময়ী রুবিনা
ভাবছেন তো কী এমন শখ? তাহলে খুলে বলা যাক৷ এ শখ হল মেয়েদের অন্তর্বাস চুরির৷ সুযোগ বুঝেই টুক করে রং-বেরঙের অন্তর্বাস চুরি করে নিতেন তিনি৷ চোখের পলকেই কাজ শেষ৷ শহরের বিভিন্ন লন্ড্রি ছিল তাঁর নিশানায়৷ সুযোগ বুঝেই হাতিয়ে নিত নানা সাইজের ব্রা৷ তারপর সেগুলি নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে৷
এদিকে, বিভিন্ন লন্ড্রি থেকেই আসছিল একের পর এক অন্তর্বাস চুরির অভিযোগ৷ কিন্তু এমন একটি জিনিস কে চুরি করছে? কিছুতেই চোর ধরা যাচ্ছিল না৷ ওদিকে, চোরের ঘরে জমছিল অন্তর্বাসের পাহাড়৷ অবশেষে অন্তর্বাস চোরকে ধরতে আসরে নামে পুলিশ৷ কিন্তু এ চোর সে চোর নয়৷ নারী শরীরের গন্ধ খুঁজতে খুঁজতে ঠিক ঢিল ছোঁড়ে নিশানায়৷ সহজে কী তাঁকে ধরা যায়৷ কিন্তু সব দিন তো আর সমানও যায় না! অবশেষে ওয়াটা শহরে এক লন্ড্রি থেকে অন্তর্বাস চুরি করতে গিয়ে একেবারে হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় চোর বাবাজীবন৷ অনস্পট তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬ জোড়া অন্তর্বাস৷ অবশেষে তাঁর ঠাঁই হয় শ্রীঘরে৷
পুলিশ জানিয়েছে, এই অন্তর্বাস চোরের নাম তেতসুয়ো উরাতা৷ বয়স ৫৬ বছর! তাঁকে হাতেনাতে ধরার পর অন্তর্বাস উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ৷ হানা দেয় তাঁর বাড়িতে৷ কিন্তু এ কি! তাঁর ঘরে ঢুকে পুলিশের চোখ একেবারে ছানাবড়া৷ তেতসুয়োর ঘরে ঢুকে দেখে সারি দিয়ে সাজানো রয়েছে ৭০০টির বেশি কাঁচুলি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ারও করেছে পুলিশ৷
৫৬ বছর বয়সে তেতসুয়োর এই কীর্তিতে অনেকেই হতবাক৷ এই বয়সেও এমন শখ দেখে অনেকেই ভিমড়ি খেয়েছে৷ তবে এর আগেও এমন খবর শোনা গিয়েছে৷ ২০১৯ সালে অন্তর্বাস চুরি করে ভাইরাল হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড বছর পঁয়ষট্টির এক ব্যক্তি।