গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব, চ্যালেঞ্জিং স্টান্ট প্রেমিকের

নটিংহাম: প্রেমিকাকে কে না ইমপ্রেস করতে চায়? কিন্তু তাই বলে নিজের শরীরে আগুন লাগানো! তবে প্রেমিক যদি স্টান্টম্যান হন তাহলে এই ঝুঁকিটা তিনি নিতেই পারেন। আর হয়েছেও তাই। বিয়ের প্রোপোজাল একজন পেশাদার স্টান্টম্যান তাঁর প্রেমিকাকে দিলেন গায়ে আগুন লাগিয়ে। সম্প্রতি এর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে নেটদুনিয়ায়। 
 

নটিংহাম: প্রেমিকাকে কে না ইমপ্রেস করতে চায়? কিন্তু তাই বলে নিজের শরীরে আগুন লাগানো! তবে প্রেমিক যদি স্টান্টম্যান হন তাহলে এই ঝুঁকিটা তিনি নিতেই পারেন। আর হয়েছেও তাই। বিয়ের প্রোপোজাল একজন পেশাদার স্টান্টম্যান তাঁর প্রেমিকাকে দিলেন গায়ে আগুন লাগিয়ে। সম্প্রতি এর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে নেটদুনিয়ায়। 

ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে ৫২ বছর বয়সী রিকি অ্যাশ কীভাবে তার প্রণয়ীর কাছে বিয়ের প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর পিছনের দিকটা সম্পূর্ণ আগুন জ্বলছিল। তাঁর প্রেমিকা, ৪৮ বছর বয়সী নার্স ক্যাটরিনা ডবসন নিজেও এই স্টান্ট দেখে নির্বাক হয়ে পড়েছিলেন। তিনি জানতেন তাঁকে একটি ফোটোশুটে অংশ নিতে হবে। এমন অনেকে করেন। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ফঅরেমবন্দি করে রাখেন। কিন্তু ক্যাটরিনা জানতেন না এমন এক ভয়াবহ স্টান্ট হতে চলেছে। ক্যাটরিনা জানান যে তাকে বলা হয়েছিল যে এমন কিছু একটি হবে। কিন্তু এতটা, তিনিও কল্পনা করেননি। “যখন ওকে আগুন দেওয়া হয়েছিল, তখন দেখলাম ওর হাত পকেটে রয়েছে। আমি ভেবেছিলাম বলি 'আপনি কী করছেন? আপনার পকেট থেকে হাত বের করুন।' তখনই হঠাৎ তিনি কেবল আংটিটি বের করেন।'' বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ মাস্ক? জানালেন বিশেষজ্ঞরা

কেন্টের উইলিয়াম হার্ভে হাসপাতালের করোনা ভাইরাস ইউনিটে কর্মরত ক্যাটরিনা আরও বলেছেন, “এটি করা সত্যিই শক্ত ছিল। ও যে বেঁচে আছে এটাই অনেক।” রিকি বলেছেন, “ক্যাটরিনা এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিল যে তিনি হ্যাঁ শব্দটা বলতে পর্যন্ত ভুলে গিয়েছিলেন। আমি পেশাগত ক্ষেত্রে এইটাই করি। এভাবে প্রোপোজাল করতে আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। আমার কাছে এটি একটি বড় হলিউড ব্লকবাস্টার করার মতো ছিল। তাই ওই স্টান্টের মধ্যেই আমি আমার বান্ধবীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।” নটিংহামের এই স্টান্টম্যান আরও জানিয়েছেন 'স্টান্ট ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা সবাই একে অপরকে জানি। তাই আগে কেউ আগুন নেভানোর প্রস্তাব দেয়নি।' এই দুজনের অনলাইনে দেখা হয়েছিল। লকডাউনের ঠিক আগে মার্চে তাদের প্রথম ডেট ছিল। তারপরে লকডাউন শুরু হয়। ফলে তাঁরা তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ফোনে কথা বলতেন। রিকি আরও বলেন তাঁর এই নাটকীয় প্রস্তাব মহামারীর সময়ে তাঁর স্ত্রীয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তাঁকে সম্মান প্রদানও বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *