ইউক্রেন: ‘খেলার ছলে ষষ্ঠীচরণ, হাতি লোফেন যখন তখন৷’ শিশুমনে হাস্যরসের উপাদান জোগাতে কবি একদা যে কাল্পনিক ছবির আশ্রয় নিয়েছিলেন, একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেই অকল্পনীয় দৃশ্যই এখন ঘোর বাস্তব৷ তবে এখানে চরিত্রের নাম ষষ্ঠীচরণ নয়, ডিমিট্রো খালাদঝি৷ আর তিনি হাতিও লোফেন না, বদলে তিনি কাঁধে তুলে নেন পূর্ণবয়স্ক ঘোড়া বা মোষ৷
৪১ বছর বয়সি ডিমিট্রো খালাদঝি ইউক্রেনের বাসিন্দা৷ তিনি সার্কাসে কাজ করেন৷ কর্মসূত্রেই তিনি এই কাজে পারদর্শী৷ একসময় তিনি একসঙ্গে ছ’জন মানুষকে কাঁধে তুলে নিতে পারতেন৷ এমনকী ১৫০ কেজি ওজন তিনি হাসতে হাসতে এক হাতে তুলে নিতে পারেন৷ আর এখন মাঝেমধ্যেই একটা পূর্ণবয়স্ক মোষ বা ঘোড়া কাঁধে তুলে নেন৷ একবার, দু’বার নয়, ৬৩ বার গিনেস বুক রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর৷
সিনেমায় তো হামেশাই এই ধরনের ঘটনা দেখে অভ্যস্থ সবাই৷ তবে তার সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্ক নেই৷ তা শুধু সিনেমার প্রয়োজনেই তৈরি করা হয়৷ তাই এই ভিডিও দেখে চোখ কপালে উঠেছে সকলের৷ ডিমিট্রোর ভিডিও দেখে অনেকেই তাঁকে মহাভারতের চরিত্র ভীমের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ তাঁরা বলছেন, এই ব্যক্তিও ভীমের মতোই বলশালী৷ কেউ কেউ আবার তাঁকে বাহুবলীও বলছেন৷ বাস্তবে হাসতে হাসতে তাঁর মোষ, ঘোড়া কাঁধে তুলে নেওয়ার দৃশ্য দেখে সত্যিই অবাক নেটিজেনরা৷
বিশ্বজুড়ে কতই না ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিদিন৷ আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন বিভিন্ন প্রান্তের সব খবরই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে৷ গোটা বিশ্বটাই এখন হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে৷ ভাইরাল হচ্ছে কত ছবি, ভিডিও৷ কখনও কখনও তা ভালো, আবার কখনও খারাপও হচ্ছে৷ সেইসব ভিডিও বা ছবি কখনও মানুষকে আনন্দ দিচ্ছে, আবার কখনও বা খারাপও লাগছে৷ অনেক কিছুই মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে, উৎসাহ দিচ্ছে৷ কিছু ছবি বা ভিডিও দেখে বিতর্কও তৈরি হচ্ছে৷