সাও পাওলো: আর একটা সপ্তাহ, তারপরেই ১২৮ বছর বয়স হত তাঁর। না, ভুল পড়েননি, ১২৮ বছর বয়সই হত হোসে পাউলিনো গোমেজের। কিন্তু তা আর হবে না কারণ মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন বিশ্বের ‘প্রবীণতম ব্যক্তি’। ১২৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ব্রাজিলের এই বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এমনিতে মারাত্মক কোনও রোগে তিনি ভোগেননি। তবে শেষ দিকে তাঁর একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল।
১৮৯৫ সালের ৪ আগস্ট জন্ম নেওয়া পাউলিনো দু’টি বিশ্বযুদ্ধ দেখার পাশাপাশি দেখেছেন তিনটি অতিমারি। সাত সন্তানের পাশাপাশি নিজের বংশের চতুর্থ প্রজন্মের সাক্ষী থাকার সৌভাগ্যও তাঁর হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, চার বছর আগে পর্যন্ত ঘোড়া চালাতেন তিনি। এছাড়া মাঝে মাঝে মদ্যপানও করতেন। মদ খেতে তিনি ভালোবাসতেন বলেও জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। ব্রাজিলের করেগো ডেল কাফেতেই ছিল তাঁর দীর্ঘ দিনের বসবাস। ১৯১৭ সালে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই বিয়ের সার্টিফিকেট থেকেই বয়সের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
যদিও এখনও পর্যন্ত ১০০ শতাংশ স্পষ্ট হয়নি যে এই ব্যক্তিই বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি কিনা। কারণ গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ এই ব্যক্তি সমস্ত কাগজপত্র এখনও যাচাই করেনি বলেই জানা গিয়েছে। তাঁদের রেকর্ড অনুযায়ী, আগে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি ছিলেন মারিয়া মোরার ১১৬ বছর বয়সী, যিনি ১৯০৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর বর্তমানে ভেনেজুয়েলার ১১৪ বছর বয়সী হুয়ান ভিন্সেন্ট পেরেসকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি বলা হয়।