কাবুল: ফের একবার অন্ধকারের কবলে চলে গিয়েছে আফগানিস্তান। গনি সরকার এর পতন ঘটেছে এবং দেশ দখলে নিয়েছে তালিবান। স্বাভাবিকভাবেই আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সর্বত্র। ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি, তালিবান সরকারকে ব্রিটেন, রাশিয়া স্বীকৃতি না দিলেও দেশের ক্ষমতা দখল যে তারা করে নিয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই এবার আফগানিস্তান নিয়ে ব্যাপক চিন্তা প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই।
জুলাই মাস থেকেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গা দখল করতে শুরু করেছিল তালিবান। চলতি মাসে প্রায় গোটা দেশ দখল করে নিয়েছে তারা। আফগানিস্তানের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে তা নিয়ে চিন্তিত সেই দেশের মানুষ থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন আতঙ্কে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক আতঙ্ক জাহির করে মালালা টুইট করে লিখেছেন, “আমরা প্রচন্ড শঙ্কিত যে তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছে। আমার সেখানকার মহিলা, সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে প্রচন্ড চিন্তা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এখনই সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। সেখানকার মানবাধিকার কর্মী এবং উদ্বাস্তুদের যাতে সুরক্ষা দেওয়া যায় সেই নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।”
We watch in complete shock as Taliban takes control of Afghanistan. I am deeply worried about women, minorities and human rights advocates. Global, regional and local powers must call for an immediate ceasefire, provide urgent humanitarian aid and protect refugees and civilians.
— Malala (@Malala) August 15, 2021
রবিবার সকালে প্রথমে জালালাবাদ, তারপর কাবুল কব্জায় নেয় তালিবান৷ হঠাৎ করে ২০ বছর আগে ফিরে গেল আফগানিস্তান৷ সেই ভয়াবহ দৃশ্য কাবুলের রাস্তায়৷ রাতারাতি ক্ষমতা দখল৷ তালিবান যে কাবুলের দখল নেবে, তা বোঝাই যাচ্ছিল৷ কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি, তা বোঝা যায়নি৷ এদিকে, দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানিরা৷ কাবুল বিমান বন্দরে তৈরি হয়েছে জনজোয়ার৷ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের সরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায়ও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে৷ এদিকে রবিবার দুপুরে তালিবানরা কাবুলে ঢুকে পড়ার পরেই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে৷ ভিড় বাড়তে থাকে বিমানবন্দরে৷ তার আগে পর্যন্ত আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের সুষ্ঠ ভাবেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল৷ কিন্তু আফগান নাগরিকরা প্রাণের ভয়ে দেশ ছাড়তে চাইলেই বিমানবন্দরে ভিড় উপচে পড়ে৷