নয়াদিল্লি: আজ থেকে ২১ বছর আগে জন্ম হয়েছিল সার্চ ইঞ্জিন গুগলের৷ কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই এত বড় ছিল না গুগল৷ ১৯৯৯ সালে সিকোইয়া ক্যাপিটাল এবং ক্লেইনার পারকিনস কোলফিল্ড অ্যান্ড বাইয়ার্সের উদ্যোগে ২৫ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছিল এই সংস্থা৷ কিন্তু ২০১৯-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গুগলের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিষ্ঠার পর সিকোইয়া ক্যাপিটালের মাইকেল মর্টিজ এবং ক্লেইনার পারকিনস কোলফিল্ড অ্যান্ড বায়ার্সের জন ডোয়েরকে জেনারেল পার্টনার হিসাবে ঘোষণা করে গুগল৷ সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স-এর অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠেন তাঁরা৷
গুগলের জন্ম হয়েছিল দুই কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট ছাত্র ল্যারি পেজ ও সের্গেই গ্রিনের হাত ধরে৷ একটি প্রকল্প হিসেবে এই সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন তাঁরা৷। তাঁদের ঘরে বসেই ব্যাকরাব নামে একটি সার্চ ইঞ্জিন পোর্টাল তৈরি করেন তাঁরা। পরবর্তীকালে এই ব্যাকরাবই হয়ে উঠে গুগল। ল্যারি ও সের্গেই-এর কথায়, ‘‘নতুন নামের সঙ্গে তাঁদের চিন্তাভাবনার অনেকটাই মিল ছিল। গ্লোব বা বিশ্ব আর গুগল অনেকটাই কাছাকাছি শুনতে। তাই আমাদের সিস্টেমের নাম ঠিক করলাম গুগল। এছাড়া এই বানানটিও খুব সহজ৷ আমাদের বিরাট সার্চ ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যে এই নাম একদম উপযোগী ছিল।’’
১৯৯৯ সালে গুগল একটি বিবৃতিতে বলেছিল, ‘‘গুগলের টেকনোলজি হাইলাইট করে পেজব়্যাঙ্ক, পেটেন্ট-পেন্ডিং এবং ওয়েব পেজের গুরুত্বের উপর৷’’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সার্চ ইঞ্জিন আরও উন্নত এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠলে সান মাইক্রোসিস্টেম সংস্থা ল্যারি পেজ ও সের্গেই গ্রিনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গুগলের তখন নয়া নাম গুগল ইঙ্ক। এর পর আইনি বৈধতা পায় গুগল৷ তাঁরা তাঁদের প্রথম অফিস খোলে ক্যালিফোর্নিয়ায়। ২০০১-এ, গুগল তার উন্নত প্রযুক্তির জন্য একটি পেটেন্ট পায় এবং ল্যারি পেজের নাম উঠে আসে আবিষ্কারক হিসাবে। জন্মদিন উপলক্ষ্যে এদিন সুন্দর একটি ডুডল উপহার দিয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল৷