লন্ডন: ক্রিসমাসের আগে ফের লকডাউনের পথে ইংল্যান্ড। তবে সমগ্র দেশে নয়। লকডাউন জারি হয়েছে দেশের একাংশে। এর ফলে প্রায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এই লকডাউনের আওতায় আসবেন।
জানা গিয়েছে ইংল্যান্ডে এক নতুন ধরনের কোভিড-১৯ (COVID-19) ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এটি চেনা করোনা ভাইরাসের থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এই ভাইরাসের কবলে পড়েই ক্রমশ বাড়ছে ইংল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা। দু’সপ্তাহ ধরে আক্রান্তে গ্রাফ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর কয়েকদিন পরেই ক্রিসমাস। তারই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা। তার মধ্যেই হল লকডাউন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী বরিস জানান, ক্রিসমাসের সময়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল বলে তিনি দুঃখিত। কিন্তু এছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনও বিকল্প পথ নেই।
লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে থ্রি-টায়ার সিস্টেমের নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এখানেই দেশের বেশিরভাগ মানুষের বাস। এবার এই জায়গাতেই ফোর-টায়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নতুন এই লকডাউনে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বাইরে একই সময় একজনের বেশি মানুষের সঙ্গে দেখা করা যাবে না। তবে ২৫ ডিসেম্বর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দেখা করা যাবে।
এদিকে ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তারা করোনা ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এই ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও তাঁর বিজ্ঞান উপদেষ্টারা আশাবাদী। তাঁদের মতে ভ্যাকসিন অবশ্যই কার্যকরী হবে। এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসও বিপজ্জনক হবে না বলে আশা তাঁদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণের উপর লাগাম টানতেই এমন সিদ্ধান্ত। এদিকে সরকার হঠাৎ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। কেন না জানিয়ে এমন ঘোষণা করা হয়, তা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে।