ডারনা: মহা প্রলয় চলছে বলা যেতে পারে। একদিকে মরক্কো থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে ভূমিকম্পের কারণে। ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ছুঁইছুঁই মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে, বন্যার বিধ্বস্ত লিবিয়া। গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের ওপর তৈরি হয়েছিল সামুদ্রিক ঝড় ‘ড্যানিয়েল’। রবিবার সেই ঝড় আছড়ে পড়ে লিবিয়ার উপকূলে। ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় একাধিক শহর। জমা জল, কাদার স্রোত, সমুদ্রের জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি, গাড়ি, ইমারত। এই মুহূর্তে যা অবস্থা তাতে দেখে মনে হবে কোনও ধ্বংসস্তূপ।
আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লিবিয়ায় গত তিন দিনে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৫ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যায় নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। ফলে আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ, বেনগাজির মতো শহর প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডারনা। লিবিয়া দেশটিতে যে গুটিকতক ধনী শহর রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম এটি। তবে আপাতত যা অবস্থা এই শহরের তাতে বহু রাস্তা বলতে গেলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। যে উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিশাল জলস্রোত বদলে দিয়েছে গোটা শহরের মানচিত্রকেই।
প্রবল বৃষ্টি এবং হড়পা বানে দুটি নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে কার্যত সুনামি এসে গিয়েছিল শহরের ওপর দিয়ে। বন্যার জলে খেলনার মতো ভেসে যায় বাড়িঘর, হোটেল, বড় বড় ইমারত। সঙ্কট মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লিবিয়াকে। কিন্তু আদতে এই ক্ষতি কী ভাবে পূরণ হবে তা এখনও অজানা প্রশাসনের।