সিয়ল: সম্প্রতি টাইফুনে তছনছ হয়ে গিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি বাড়ি৷ দেশের মানুষের এই দুর্দশায় এবার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন দেশের প্রধান কিম জন উন৷ তিনি দেশবাসীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন আগামী ৫ বছরে এই ২৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি সারিয়ে দেবেন তিনি৷ উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর৷ টাইফুনে বিধ্বস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান কিম৷ সেখানে গিয়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সের বাড়ি গুলি ভেঙে যাওয়ার সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি৷ দেশের সেনাবাহিনীকে তিনি আদেশ দেন যাতে শীঘ্রই বাড়িগুলি সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা করে তারা৷
টাইফুনে গোটা দেশের বিভিন্ন অংশ বিপর্যস্ত হওয়ার খবর শুনে মানুষের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি৷ এরপরই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ তাঁর এই আচরণে বোঝা যাচ্ছে দেশের ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলার জন্য কীভাবে জনতার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, দেশের রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ের উত্তর-পূর্বে দক্ষিণ হামগিয়াং প্রদেশের কমডোক এলাকায় কমপক্ষে ২৩০০ টি বাড়ির ৬০ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে ওই দেশের সেনাবাহিনী৷ কিম জানিয়েছিলেন, নতুন বাড়ি তখনই তৈরি করা যেতে পারে যখন পুরোনো বাড়িগুলি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে৷ গত সপ্তাহে, কিম তার দেশের প্রতি ৮০ দিনের ‘গতি যুদ্ধ’ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন যাতে নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক লক্ষ্যে পৌঁছনো যায় জানুয়ারির আগে৷
প্রসঙ্গত, অত্যাচারী শাসক বলেই পরিচিত উত্তর কোরিয়ার কিম জন উন৷ সম্প্রতি চাউর হয়েছিল তার মৃত্যু খবর৷ প্রথমে খবর হয় কোমায় রয়েছে৷ কিম৷ তারপরে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয়৷ সেইসময় অবশ্য তড়িঘড়ি তাঁর কিছু ছবি প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম। সেগুলি দেখিয়ে দাবি করা হয়, কিছুই হয়নি। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সি এই স্বৈরতন্ত্রীকে এপ্রিল মাসের পর থেকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তবে কিছুদিন পরেই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানা যায় বহাল তবিয়তেই রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এই শাসক৷