ক্যানবেরা: দেশে বিগত কয়েকদিন ধরে লেটুস পাতার আকাল দেখা দিয়েছে। আর তাই কেএফসি নামের বিখ্যাত বার্গার সংস্থা বার্গারের মধ্যে লেটুসের পরিবর্তে ব্যবহার করছে বাঁধাকপির পাতা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। পরিস্থিতি এতটাই চরমে যে রাতারাতি মন্ত্রিসভার সদস্যদের এই প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসতে হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনা হাস্যকর বলে মনে হলেও কেএফসির জনপ্রিয় জিঞ্জার বার্গার পেতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে অস্ট্রেলিয়াবাসীর।
অন্যদিকে বার্গারে ব্যবহৃত কাঁচা শাকসবজি নাগাল পেতে সংস্থারও গলদঘর্ম অবস্থা। কারণ এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় সবজির দাম বেশ চড়া। বিশেষ করে লেটুসপাতা কিনতে কেএফসির মত কোম্পানিরও ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি হয়ে যাবার জোগাড়। আর তাই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লেটুস পাতার পরিবর্তে বার্গারে এবার থেকে ব্যবহার করা হবে বাঁধাকপির পাতা। আর তাতেই বিপত্তি। জানা যাচ্ছে বার্গারে লেটুসের পরিবর্তে বাঁধাকপির পাতা ব্যবহৃত হওয়ায় কেএফসির বার্গারের বিক্রি প্রায় ৫০ ভাগ কমে গিয়েছে। এমতাবস্তায় পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রীসভায় জরুরি বৈঠক পর্যন্ত ডাকতে হয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো বিস্মিত হয়েছে সকলে। শুধুমাত্র বাঁধাকপি এবং লেটুসপাতা সমস্যার কারণে যে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা যেতে পারে তারা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না বহু মানুষ। কিন্তু এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় লেটুস এবং বাঁধাকপির সমস্যা এতটাই জোরালো হয়ে উঠেছে যে সংবাদমাধ্যম এবং রেডিওতে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বাঁধাকপি সমস্যা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগেই অস্ট্রেলিয়ায় এক আঁটি লেটুস পাতার দাম ছিল মাত্র ২ ডলার। কিন্তু সম্প্রতি এই লেটুসপাতা আমি এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ৮ ডলার। তাও আবার এটি সব জায়গায় পাওয়াও যাচ্ছে না।
অন্যদিকে যে সমস্ত জায়গায় লেটুসপাতা একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে বাঁধাকপির ব্যবহার এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে দিন কয়েকের মধ্যে আবার বাঁধাকপির আকাল দেখা দিচ্ছে। এমতাবস্তায় কেএফসি সংস্থার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাদের বিখ্যাত জিনজার বার্গারে বাঁধাকপি থাকবে ৫০ ভাগ এবং লেটুসপাতা থাকবে ৫০ ভাগ। আর তাতেই বেড়েছে বিপত্তি। দুই পাতা মিলে এমন অদ্ভুত স্বাদ তৈরি হচ্ছে বার্গারের যে কেএফসির ওই জিনজার বার্গার মুখে তুলতে পারছেন না মানুষজন। এই সংস্থার তরফ থেকেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছিল। আর তাই প্রধানমন্ত্রী সমস্যা সমাধানে রাতারাতি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন।