আরও একটা যুগের অবসান, বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করল জনসন

আরও একটা যুগের অবসান, বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করল জনসন

64998fcb502d0f5e16b733361490a2f6

 আগামী বছর থেকে আর পাওয়া যাবে না জনসন এন্ড জনসনের ট্যালকম বেবি পাউডার। বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘোষণা করল মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল এই প্রতিষ্ঠান। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সাল অর্থাৎ চলতি বছর থেকেই এই বেবি পাউডারের প্রোডাকশন বন্ধ করছে সংস্থা। আর তার জেরে ২০২৩ সাল অর্থাৎ আগামী বছর থেকে বাজারে আর মিলবে না জনসনের বেবি পাউডার। উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগেই শিশুদের সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় জড়িয়েছিল এই সংস্থার নাম। সেই সময় জনসনের বেবি পাউডারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে, যে এই পাউডার শিশুদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং এর প্রতিনিয়ত ব্যবহারে শিশুদের ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ পর্যন্ত হতে পারে। এরপরেই আমেরিকার জন্য এই পাউডার বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জে এন্ড জে। এবার সারা বিশ্বের জন্য এই একই পদক্ষেপ নিতে চলেছে তারা।

 এই ঘটনা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়ে জে অ্যান্ড জের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে এই ট্যালকম পাউডার বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জে এন্ড জে। এরপর থেকে তারা পুরোপুরি কন্সস্টার্চভিত্তিক বেবি পাউডার উৎপাদন করবে বলেই সংস্থা তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে জনসন বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস  নামে একটি খনিজ সিলিকেট রয়েছে যা মানুষের শরীরে ক্যান্সার রোগের মত মারণ রোগ ডেকে আনতে পারে। মূলত এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৮ হাজার মামলা রয়েছে। যদিও অভিযোগকারীদের এই অভিযোগ এখনও মানতে রাজি নয় এই প্রতিষ্ঠান। মূলত সেই কারণে বৃহস্পতিবারও জে এন্ড জে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রক অনুমোদনগুলো তাদের  ট্যালকমকে নিরাপদে এবং অ্যাসবেস্টস মুক্ত বলে প্রমাণ করেছে।’

জানা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত এই মামলার শুনানি বাবদ জনসন ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট ২২ জন মহিলা জনসনের পাউডার যে ক্ষতিকারক তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আর তার জেরেই এই সংস্থাকে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *