কাজে এল না ‘আবকি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান! হোয়াইট হাউজের পথে জো বিডেন

কাজে এল না ‘আবকি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান! হোয়াইট হাউজের পথে জো বিডেন

a74d094b452dedb9c933a260c3f529a2

ওয়াশিংটন: কাজে এল না ‘বন্ধু’র হয়ে ভিনদেশি ‘বন্ধু’র প্রচার! ‘আবকি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান ওঠার পরও হোয়াইট হাউসে কার্যত আর ফেরা হচ্ছে না রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের৷ দ্বিতীয়বারের জন্য আর ফিরতে পারলেন না ক্ষমতায়! জনমত সমীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে দিয়ে শেষ হাসি হাসতে চলেছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বিডেন৷ আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্টের দৌড়ে এগিয়ে জো বিডেন৷

কার দখলে যাবে হোয়াইট হাউজ? ডোনাল্ড ট্রাম্প না জো বিডেন৷ শুরুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছেন ট্রাম্প৷ দ্বিতীয় ও শেষবার গদি দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প৷ ট্রাম্প বিরোধী হাওয়া তুলে ক্ষমতা দখলে মরিয়া ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন৷ এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প ১১৮টি ও জো বিডেন জিতেছেন ২০৯টি প্রদেশে৷ ২৭০ হোয়াইট হাউসের ম্যাজিক ফিগার৷

ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, ওকলাহোমা, টেনেসি, আরকানসাস, লিুইসিয়ানা এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া সহ ১৩টি প্রদেশে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প৷ এই প্রদেশগুলিতে ২০১৬ সালেও জয়ী হয়েছিলেন তিনি৷ অন্যদিকে নিজের প্রদেশ ডেলাওয়্যার, নিউইয়র্ক, ম্যসাচুসেটস, নিউ জার্সি এবং মার্কিন রাজধানী ওয়াশিংটন সহ ১১টি প্রদেশ দখল করেছেন জো বিডেন৷ দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউজে ফিরতে হলে ফ্লোরিডায় জয়ী হতে হবে ট্রাম্পকে৷ ২৭০ এর ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে গেল ফ্লোরিডার ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে৷ এই প্রদেশে রয়েছে ২৯টি ইলেকটোরাল ভোট৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই প্রদেশ৷ এখনও পর্যন্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে সমানে সমানে৷ দু’জনেই পেয়েছে ৪৯ শতাংশ ভোট৷

যদি বাইডেন ওহিয়োতে জিতেন, তাহলে তথাকথিত ‘ব্লু ওয়াল’ ফিরিয়ে নিতে পারবেন – ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে মিড ওয়েস্ট প্রদেশে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডেমোক্র্যাটদের নির্ভরযোগ্য ঘাঁটি ছিল৷ তবে ২০১৬ সালে ভোট দিয়েছিল রিপাবলিকানদের। শেষ ১৪টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছিল ওহিয়ো৷ আবার ২০১৬ সালে ফ্লোরিডাতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পেয়েছিলেন ৪৭.৮ শতাংশ ভোট৷ আর ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বাজি মাত করছিলেন ট্রাম্প৷ এখনও পর্যন্ত ৯৪টি ইলেকট্রোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বিডেন এগিয়ে রয়েছে ১২৯টি ভোটে৷ টেক্সালে এগিয়ে রয়েছে ডিমোক্র্যাটকরা৷ অন্যদিকে, ট্রাম্পের দখলে গিয়েছে মিশিগান৷ ট্রাম্পের দিকে গিয়েছে প্রবাসী ভোট৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে জনগণের ভোট অর্থাৎ পপুলার ভোট বেশি পাওয়ার প্রয়োজন হয় না৷ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট দিকেই থাকে নজর৷ গতবার নির্বাচনে পপুলার ভোট কম পেয়েও ট্রাম্প ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷ পুলার ভোটে এবার এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে, ট্রাম্পের থেকে বেশি ইলেক্টোরাল ভোটে পেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে বিডেন৷ ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ১১৮ (৪৮.৬৮%) বিডেনের প্রাপ্তি ২২৩ (৪৯.৭৩%)৷ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পাশাপাশি সেনেট ও হাউসের ফলাফল আর কয়েক ঘণ্টা পর আসতে শুরু করবে৷ ডেমোক্র্যাটরা রাষ্ট্রপতি ও সেনেট এবং হাউস, তিনটি জায়গায় জেতার অবস্থায় আছে৷ বর্তমানে হাউস এখন ডেমোক্র্যাটদের দখলে৷ সেনেট রয়েছে রিপাবলিকানদের দখলে৷ হাউস, সেনেট ও প্রেসিডেন্ট  ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করা খুবই সহজ হবে জো বিডেনদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *