‘বন্ধু’ জো বিডেনের জয়ে কতটা প্রভাব পড়বে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে?

‘বন্ধু’ জো বিডেনের জয়ে কতটা প্রভাব পড়বে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে?

ওয়াশিংটন: হোয়াইট হাউজ দখলের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন৷ গত চার বছরে ট্রাম্প জমানায় ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ৷ অন্যদিকে জো বিডেনও বারবার বলেছেন, ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার  সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে৷ এর আগেও বিডেনের ভারত দরদী ভাবমূর্তি দেখেছে নয়াদিল্লি৷ 

আরও পড়ুন- হোয়াইট হাউজ দখলে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ফ্লোরিডা-ওহিয়োতে কড়া টক্কর

২০০৬ সালে ভারত-মার্কিন পারমাণবিক চুক্তিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লড়াইয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীর রূপরেখা প্রকাশ করেছিলেন৷ বিডেন বলেছিলেন, ‘‘আমার স্বপ্ন হল ২০২০ সালে বিশ্বে নিবির সম্পর্কে বাঁধা পড়বে দুই দেশ, ভারত ও আমেরিকা৷’’ এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে গিয়েছেন বিডেন৷ তিনি ক্ষমতার এলে আগামী দিনেও প্রেসিডেন্ট হিসাবে এই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ 

২০০৬ সালে জো বিডেনের নেতৃত্ব ছাড়া কোনও ভাবেই সফল হত না ভারত-মার্কিন পারমানবিক চুক্তি৷ সেই সময় জো বিডেনের দৃঢ় নীতির সাক্ষী থেকেছিল ভারত৷ সেনেটের ফরেন রিলেশন কমিটির ব়্যাঙ্কিং সদস্য হিসাবে সেই সময় বিধিবদ্ধ আইন প্রয়োগ করেছিলেন তিনি৷ গ্রহণযোগ্য ভাষার রূপ দিয়েছিলেন৷ দক্ষতার সঙ্গেই বিরোধীদের সমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়েছিলেন জো বিডেন৷ যা ভারত ও আমেরিকার সুসম্পর্ককে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিল৷ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি ওবামা/বিডেন প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাণিজ্যের দৃঢ় সমর্থক ছিলেন৷ ভারতকে মেজর ডিফেন্স পার্টনার করার পক্ষে সবসময়ই ছিলেন বিডেন৷ 

আরও পড়ুন- কাজে এল না ‘আবকি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান! হোয়াইট হাউজের পথে জো বিডেন

আর যদি ইন্দো-আমেরিকান গোষ্ঠীর কথা ওঠে, তাহলে দেখা গিয়েছে বরাবরই তাঁরা ডেমোক্র্যাটদেরই সমর্থন করে এসেছেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর রসায়নে ইন্দো-আমেরিকানদের সমর্থনের পাল্লাও রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন৷ তবে সমীক্ষা বলছে, আমেরিকায় বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় এবং নতুন প্রজন্মের ইন্দো-আমেরিকানদের ভোট যাবে জো বিডেনের দিকেই৷ আবার এই বছর ডেমোক্র্যাটদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস৷ জো বিডেন ভারত-আমেরিকার ন্যাচারাল পার্টনারশিপকে লেনেদেনের সম্পর্কে বেঁধে রাখেননি৷ বরং তিনি এটিকে সম্পর্কের নজরেই দেখেন৷ এখানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য৷ লেনদেনের সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষেই বিডেন৷ ফলে তিনি ক্ষমতায় এলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই আশা৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *