নিউ ইয়র্ক: মার্কিন মুলুকে ৮৬তম প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন জোসেফ রবিনেট বিডেন জুনিয়র। একটি ক্রমবর্ধমান মহামারী, নিম্নমুখী অর্থনীতি এবং গভীর রাজনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত একটি দেশকে একত্রিত করার এবং সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিপাবলিকানদের হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বিডেন শনিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আমেরিকানদের ঐক্যবদ্ধ করবেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রত্যয়ী জয়ের পর তিনি বিভাজন মোছার চেষ্টা করবেন।
বিডেন তাঁর নিজের শহর ডেলাওয়্যারের উইলিংটনে একটি সমাবেশে সমর্থকদের বলেন, “এই সময় আমেরিকার নিরাময়ের সময়। আমি এমন রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে বিভক্ত হয়ে নয় বরং ঐক্যবদ্ধ হতে চায়।” ট্রাম্প সমর্থকদের হতাশার কথা স্বীকার করে বিডন তাঁদের সম্পর্কে বলেন, “তাঁরা আমাদের শত্রু নয়। তাঁরাও আমেরিকান।” বিডেন আরও বলেন, “আমেরিকাতে এই ভূতুষ্টকরণের যুগটি এখানেই শুরু হতে দিন। আমি আমেরিকার আত্মা ফিরিয়ে আনার জন্য, এই জাতির মেরুদণ্ড, মধ্যবিত্তদের পুনর্গঠন করতে এবং আমেরিকাকে আবার বিশ্বজুড়ে সম্মানিত করার জন্য এই অফিসটি চেয়েছিলাম।”
ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রার্থী হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করার ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে বারাক ওবামার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আফ্রিকান-আমেরিকান সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানান। ব্রুস স্প্রিংসটেনের “উই টেক কেয়ার অফ আওয়ার অব” এর উল্লেখ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত কমলা হ্যারিসের পরিচিতি ঘটান। বলেন, “এই দেশের মানুষ কথা বলেছেন। তারা আমাদের একটি সুস্পষ্ট, একটি প্রত্যয়ী জয় দিয়েছেন।”
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিডেন ও ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে প্রায় সমানে সমানে টক্কার দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পেনসিলভেনিয়ায় তাঁর জয়ের পর মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্টের পদ পাওয়া নিষ্চিত হয়ে যায় বিডেনের। প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের চেয়ে বেশি লাভ করার পরে বিডেনের এই জয় আসে। ট্রাম্প ফলাফল হ্রাস করার চেষ্টা করেছিলেন। ভিত্তিহীনভাবে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ভোট চুরি করার অভিযোগ আনার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এবং এও দাবি করেছিলেন, ভোট চুরি না করলে তিনিই জয়ী হতেন। তিনি তো ফলাফল ঘোষণার আগেই নিজেকে বিজয়ী দাবি করেছিলেন।