নয়াদিল্লি: আমেরিকার চাপে ইরানের কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল না কেনার সিদ্ধান্ত ভারতের। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মে মাসের ২ তারিখ আমেরিকার সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনায় বসবে ভারত সরকার। কিন্তু ততদিন ইরানের কাছ থেকে ভারত তেল কিনবে না বলেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে মঙ্গলবার এই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। বলা হল, আগামী ২৩ মে’র পর জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া হবে। লিটারপিছু দাম বাড়বে ৫-১০ টাকা। এটাই প্রধানমন্ত্রীর গোপন পরিকল্পনা। যাকে দেশবাসীর সঙ্গে ‘প্রতারণা’ বলেও ট্যুইটারে আক্রমণ শানিয়েছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।
কেন আচমকা ভোট-ময়দানে জ্বালানি-ইস্যুকে সামনে আনল কংগ্রেস? ইরান থেকে তেল আমদানির জন্য ভারত সহ আটটি দেশকে ছ’মাসের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল আমেরিকা। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। সোমবার ওয়াশিংটন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, ইরান থেকে জ্বালানি আমদানির মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না।
কংগ্রেসের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের বাজারেও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তা হয়নি। এক্ষেত্রে ভারতের তেল সংস্থাগুলিকে দাম না বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ সুরজেওয়ালার। ভোটের দিকে তাকিয়েই তাঁর এমন নির্দেশিকা। এদিন ট্যুইটার বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, ২৩ মে পর্যন্ত ভারতের বাজারে তেলের দাম বাড়বে না। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই লিটারপিছু ৫-১০ টাকা বেড়ে যাবে। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।