১৮-য় ইমরানের শপথ, ১৯-এ ভারত-পাক বন্ধুতা না বৈরিতা?

তিয়াষা গুপ্ত: ১৮ আগস্ট শপথ নিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের বুকে শুরু হল তাঁর নতুন ইনিংস। সেই সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম হল। ভারতে সন্ত্রাস রফতানি করার ক্ষেত্রে নীতিগত কোনো পরিবর্তন কি হবে? ইমরান খান সেনার হাতের পুতুল হয়ে থাকবেন, নাকি পাকিস্তানের নতুন দিশারি হবেন? দেখা যাক। ১৮ আগস্ট পাকিস্তানের ২২ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন

১৮-য় ইমরানের শপথ, ১৯-এ ভারত-পাক বন্ধুতা না বৈরিতা?

তিয়াষা গুপ্ত: ১৮ আগস্ট শপথ নিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের বুকে শুরু হল তাঁর নতুন ইনিংস। সেই সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম হল। ভারতে সন্ত্রাস রফতানি করার ক্ষেত্রে নীতিগত কোনো পরিবর্তন কি হবে? ইমরান খান সেনার হাতের পুতুল হয়ে থাকবেন, নাকি পাকিস্তানের নতুন দিশারি হবেন? দেখা যাক।

১৮ আগস্ট পাকিস্তানের ২২ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জনপ্রিয় ক্রিকেটার ইমরান খান। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেন।  গত জুলাইয়ে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়। জয় পেলেও সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি পিটিআই। এই কারণে জোট সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে ছোট রাজনৈতিক দল ও নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নেন ইমরান।

ফাঁস হওয়া পানামা পেপার্সে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এতে সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নতুন নির্বাচন ডাকা হয়। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গড়াপেটার অভিযোগ সব মহলের জানা। তবে সব অভিযোগ ছাপিয়ে ইমরানই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।

পাকিস্তানের ইমরান সরকার আদৌ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা, সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে ভারত। ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং বলেন, পাক সেনাই সেদেশের সরকার চালাচ্ছে। এখন দেখতে হবে ইমরানের সেনার ছায়া থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে কিনা!

ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বন্ধুতার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধ হয়নি সন্ত্রাস রফতানি। কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের দাপটে রক্ত ঝরছে, হিংসা ছড়াচ্ছে পাক সেনা। এরপর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ইমরান কি সেনার হাতের পুতুল হয়ে থাকবেন নাকি পাকিস্তানের নতুন দিশারি হবেন? দ্বিতীয়টির সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে আর ইমরান যেভাবে ক্ষমতায় এসেছেন, তাতে সেনার প্রভাব মুক্ত হয়ে কাজ করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব।

৩০ আগস্ট, ২০১৮- সবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যান রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দফতরে। সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক। স্বাভাবিকভাবে গোটা দেশের নজর ছিল সেই দিকেই। ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেই বৈঠক চলে। এই ঘটনার কয়েকদিন পর এক পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর ইমরানের সাক্ষাৎকার নেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, কী এত কথা হল সেনা প্রধানের সঙ্গে। এর উত্তরে ইমরান জানান, আমরা নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি।
অর্থাৎ এই ঘটনা থেকে বোঝা গেল, সেনাকে বা দিয়ে এক কদম চলতে পারবেন না ইমরান। এটাই পাকিস্তান। নতুন ইনিংস শুরু হল ইমরানের। কিন্তু ভারতের সঙ্গে নতুন কোনো সম্পর্কের রসায়ন কি তৈরি হবে ১৯-এ? নজর থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *