কেপু: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা৷ স্তব্ধ ইন্দোনেশিয়া৷ এখনও পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় ৫১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন৷ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪৬ জন৷ মৃত্যু হয়েছে ৪৬৯ জনের৷ করোনায় একের পর এক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে আতঙ্ক৷ তাড়া করছে ভূতের ভয়৷ ভূতের ভয়ে রাতে বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ মানুষ৷ একদিকে করোনা, অন্যদিকে ভূতের ভয়! জোড়া আতঙ্কে জেরবার ইন্দোনেশিয়া৷ তবে, সত্যিই কী ভূত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে?
স্থানীয়দের দাবি, অকারণে বাইরে বেরলেই ধেয়ে আসছে সাদা পোশাকের চেহারারা অশরীরী আত্মা৷ লাল চোখ থেকে আগুন ঠিকরে বেরচ্ছে৷ রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে ভূতদের লম্ফঝম্ফ৷ রাস্তায় বেরলেই পিছু নিচ্ছে ভূত৷ রাতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রকাশ্যে ভূতদের দেখা মিললেও দিনের আলো ফুটতেই উধাও সেই অশরীরী আত্মা৷ যা দেখে রীতিমতো পিলে চমকে যাচ্ছে স্থানীয়দের৷ কিন্তু, সত্যিই কী এরা ভূত?
না, এরা কেউ অশরীরী আত্মা বা ভূত নন৷ ইন্দোনেশিয়ার মানুষকে ভয় দেখিয়ে লকডাউন বিধি মনে চলার জন্য নয়া উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় পুলিশ৷ পোকংদের দাপটেই ইন্দোনেশিয়ার কেপু গ্রামে সামজিক দূরত্ব পালন ও লকডাউন বিধি মনে করিয়ে দিতেই এই ব্যবস্থা বলে জানানো হয়েছে৷ কুসংস্কারকে হাতিয়ার করোনার বিরুদ্ধে নেমেছে জাভা দ্বীপের এই গ্রামের প্রশাসন৷ স্থানীয়দের যাতে করোনার মারণ ছোবল থেকে দূরে সরিয়ে রাখার যায়, তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ৷
ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দারা মনে করেন, অতৃপ্ত আত্মা পোকংয়ের রূপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়৷ আর সেই কুসংস্কারকে হাতিয়ার করে সামাজিক বিধি মানতে বাধ্য করানোর জন্য পোকং ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন৷ লকডাউন বিধি প্রথমে ঠিকঠাক কাজে না আসায় পোকংকে ব্যবহারের কথা ভাবা হয়৷ আর তাতেই মিলেছে সাফল্য৷ তবে, এই ব্যবস্থা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য নয়, বরং বিধি পালনের পালনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে৷