নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণের জেরে গোটা বিশ্ব আতঙ্কে। কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রভাব বিশ্ববাসীকে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন করবে, তা উল্লেখ করেছেন বহু গবেষক। এরই মধ্যে নয়া আশঙ্কা। হর্ন অফ আফ্রিকা থেকে ধেয়ে আসছে বিশেষ প্রজাতির পঙ্গপাল। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ। বিশেষত খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে দেশগুলি। তবে তা প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বিশেষ পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে সরকার, সংবাদসূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কোভিড ১৯ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির তৈরি করেছে। অন্যদিকে পঙ্গপালের আক্রমণের সম্ভাবনাকেও আর এক যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এর ফলে ইয়েমেন, বাহরিন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব, পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন (এফএও) তাদের ওয়েবসাইটে এই আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল।
আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার কৃষিপ্রধান দেশগুলির উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে তারা। কিন্তু পঙ্গপালের আক্রমণকে কেন এতট ভয়ঙ্কর বলে ব্যাখ্যা করছে তারা? সূত্রের দাবি, হর্ন অব আফ্রিকা অর্থাৎ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তার ফলে ওই বিশেষ প্রজাতির পঙ্গপালের ব্যাপক বংশবিস্তার হয়। বৃহৎ আকৃতির একটি পঙ্গপাল যতটা খাবার খায়, তা ৩৫ হাজার মানুষের খাবারের সমান। দিনে প্রায় ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেতে পারে ওই পঙ্গপাল। তার -পাশাপাশি বংশবিস্তারের কাজটিও করে। এর ফলে কৃষিপ্রধান দেশগুলি খাদ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারে। এক এলাকায় খাবার ফুরোলেই সেগুলি অন্যত্র যায়। মূলত বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার গতি অনুযায়ী এগুলি চলাফেরা করে বলে জানা গেছে।
কয়েক মাস আগে আফ্রিকার সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং কেনিয়ার মতো দেশে আক্রমণ চালিয়েছিল ওই পঙ্গপাল। সূত্রের খবর, জাতিসঙ্ঘের হিসেবে পশ্চিম আফ্রিকায় ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পঙ্গপাল আক্রমণের ফলে বহু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।