হিউস্টন: প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে প্রাণ হারালেন টেক্সাসের বাঙালি গবেষক শর্মিষ্ঠা সেন। তিনি টেক্সাসের প্লেনো সিটির বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মলিকিউলার বায়োলজি ও ক্যানসার নিয়ে তিনি রিসার্চ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ভোরবেলা পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই তিনি উঠে যেতেন। বের হতেন প্রাতঃভ্রমণে। শনিবার এর অন্যথা হয়নি। ১ অগস্ট তিনি প্রাতঃভ্রমণে বের হন। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি। একটি পার্কের কাছে জলা জমিতে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। টেক্সাস পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে ডাকাতির জন্য শর্মিষ্ঠার ওপর হামলা করেছিল। তাঁকে হত্যা করার আগে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
প্লেনো সিটির পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সময় ওই পার্কের কাছে একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতির সঙ্গে শর্মিষ্ঠা সেনের খুনের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শর্মিষ্ঠার কী করে মৃত্যু হয়েছে, এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি প্লেনো সিটির পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ২৯ বছরের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে অভিযুক্ত কোলিন কাউন্টি জেলে বন্দি। টেক্সাস পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকাটি খুব শান্ত। এখানে সচারচর কোনও অশান্তির খবর ঘটেনি। তবে কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা তদন্ত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে প্লেনো সিটির পুলিশের তরফে।
জানা গিয়েছে, ধানবাদের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা সেন। প্রাথমিক শিক্ষার পর বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে আমেরিকা চলে যানয তাঁর বাবা-মা ধানবাদে এখন থাকেন না, কলকাতাতে থাকেন। টেক্সাসের বাড়িতে দুই ছেলে রায়ান ও নীল ও স্বামী অরিন্দম রায়ের সঙ্গে শর্মিষ্ঠা থাকতেন। শর্মিষ্ঠার দাদা সুমিত ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। বোনের খবর শুনে দ্রুত সেখানে চলে যান বলে জানা গিয়েছে।