করোনা প্রভাবে আরও ৩ মাস বন্ধ ভারত-চিন বিমান যোগাযোগ

সাংহাই এবং হংকংয়ের ফ্লাইটগুলি ৩০ শে জুন পর্যন্ত বাতিল রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন এআইয়ের এক মুখপাত্র।  দিল্লি-হংকং রুটে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট এবং দিল্লি থেকে সাংহাই রুটে সপ্তাহে ৬টি ফ্লাইট রয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চিনের সমস্ত উড়ান বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। এর আগে ফ্লাইটগুলি ২৮ মার্চ পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই জাতীয় বিমান সংস্থা।

সাংহাই এবং হংকংয়ের ফ্লাইটগুলি ৩০ জুন পর্যন্ত বাতিল রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন এআইয়ের এক মুখপাত্র।  দিল্লি-হংকং রুটে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট এবং দিল্লি থেকে সাংহাই রুটে সপ্তাহে ৬টি ফ্লাইট রয়েছে।

 

বেসরকারি বিমান সংস্থা গুলির মধ্যে ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেট তাদের মেইনল্যান্ড চায়না এবং হংকংয়ের উড়ানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আরও বাড়িয়ে দেবে কিনা সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। স্পাইসজেটের দিল্লি-হংকংয়ের দৈনিক ফ্লাইট আছে। ইন্ডিগো তার তিনটি দৈনিক ফ্লাইট দিল্লি-চেংডু, বেঙ্গালুরু-হংকং এবং কলকাতা-গুয়াংজু-র উড়ান বন্ধ রেখেছে।

যাতায়াতের চাহিদা দৃষ্টান্তমূলকভাবে কমে যাওয়ায় হংকংয়ের বিমান সংস্থা ক্যাথে প্যাসিফিক, ভারতে আসাযাওয়ার জন্য তাদের দৈনিক ৪৯ টি ফ্লাইট কমিয়ে ৩৬ টি করে দিয়েছে ২৯ শে মার্চ পর্যন্ত।

চিনের অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে শানডং এয়ারলাইনস ও এয়ার চায়না ভারতের উড়ান বন্ধ রেখেছে। আর চায়না সাউদার্ন উড়ানের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। 

যাতায়াতের চাহিদা কমে যাওয়ার এসআইএর মুম্বাই ফ্লাইট এবং সিল্কএয়ারের অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং এখানকার আঞ্চলিক বিমান সংস্থা  সিল্কএয়ার কোভিড -19 তাদের ঘড়োয়া ফ্লাইটগুলিও অনেকটাই কযমিয়ে দিয়েছে।  

কোচির ফ্লাইটেও কাটছাঁট হয়েছে। মার্চ পর্যন্ত তাদেরও

বিমান পরিষেবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাতিল হওয়া বিমানগুলির মধ্যে রয়েছে , ১৪, ২১ এবং ২৮ শে মার্চের ফ্লাইট বাতিল করেছে সিঙ্গাপুর-মুম্বাই (SQ 425) এবং ৮, ১৫,২২ এবং ২৯ মার্চের ফ্লাইট বাতিল করেছে মুম্বাই-সিঙ্গাপুর (MI 461) । সিল্ক এয়ারের সিঙ্গাপুর-কোচি (MI 462) এবং কোচি-সিঙ্গাপুর (MI 461) মার্চে ১৮ দিন তাদের ফ্লাইট বাতিল রেখেছে।

এদিকে চীনে ক্রমশই বাড়ছে করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। চীনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন থেকে জানানো হয়েছে,, বৃহস্পতিবার এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই ১১৫ জন মারা গিয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,২৩৬। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮৮৯ জন। তার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫,৪৬৫।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *