নয়াদিল্লি: সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় এবার পাকিস্তানকে ভাতে মেরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলছে ভারত সরকার৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেও আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পথও বন্ধ করার ব্যবস্থাও নিতে শুরু করেছে৷ পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার করারও কাজ চলছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর৷ জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফের মাধ্যমে পাকিস্তানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে ভারত৷ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বে পাকিন্তান৷
এমনিতেই ঋণের দায়ে জেরবার পাকিন্তান৷ প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁর গাড়ি-বাড়ি নিলামে তুলেছেন৷ দেশের খরচ কমাতে মন্ত্রীদের গাড়ি ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন পাক প্রধানমমন্ত্রী৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি হলে চূড়ান্ত সংকটে পরবে ইমরানের সরকার৷
পাক পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ কর চাপানোর পর ইতিমধ্যেই জল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ভারতের৷ ভারতীয় যে সমস্ত নদীর জল এতদিন পাকিস্তান ব্যবহার করে আসছিল, তা আর ব্যবস্থার করতে দেওয়া হবে না৷ প্রতিটি নদির মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে ভাতে মারার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র সরকার৷ এই লক্ষ্য পূরণে পাঞ্জাব ও জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত নদীর গতিপথ বদল করে দেওয়া হবে৷ ফলে, জল না পেয়ে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বে সে দেশের সরকার৷
পাকিস্তানের সঙ্গে করা জল চুক্তি থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসতে পারে ভারত৷ সিন্ধু অববাহিকার জলকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি৷ মনে করা হচ্ছে, পাক সরকারকে বিপাকে ফেলতে সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব এই তিনটি নদীর জলকে আটকে দিতে পারে ভারত৷ বর্তমান চুক্তি অনুসারে পাকিস্তান এই তিনটি নদীর জলের সিংহভাগ পেয়ে থাকে৷ ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু অববাহিকার ছটি নদীর জল ভাগাভাগি নিয়ে যে চুক্তিতে সই করেছিল, গত ৫৬ বছরে দুদেশের মধ্যে অনেক যুদ্ধবিগ্রহ সত্ত্বেও তাতে কোনও ছেদ পড়েনি৷ কিন্তু গত সপ্তাহের জঙ্গি হামলার পর থেকেই ওই চুক্তি ভাঙার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে খবর৷