অপহরণ, বারবার ধর্ষণ, মানুষের মাংস রেঁধে খেতে বাধ্য করেছিল জঙ্গিরা, তরুণীর কাহিনিতে বাকরুদ্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জ

অপহরণ, বারবার ধর্ষণ, মানুষের মাংস রেঁধে খেতে বাধ্য করেছিল জঙ্গিরা, তরুণীর কাহিনিতে বাকরুদ্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জ

নয়াদিল্লি: এ এক মর্মান্তিক কাহিনী৷ জীবনের কালো অধ্যায়ের পরতে পরতে শিহরণ৷ জঙ্গিদের হাতে দু’বার অপহৃত হওয়া এক তরুণীর কাহিনী শুনে স্তব্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ 

আরও পড়ুন- মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দু’বার তাঁকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা। চলেছে অকথ্য অত্যাচার। বার বার ধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে৷ এখানেই থামেনি নৃশংশতার পর্ব৷ মানুষের মাংস রেঁধে, তা খেতে বাধ্য করেছিল জঙ্গিরা। মানবাধিকার সংগঠনের কাছ থেকে এই কাহিনি শুনে বাকরুদ্ধ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। ঘটনাটি গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর।

কঙ্গোর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার আলোচনা চলছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে৷ সেই সময়ই কঙ্গোস্থিত এক নারী অধিকার রক্ষা সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়েন লুসেঞ্জ সকলের সামনে তুলে ধরেন এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনার কাহিনি৷ তিনি জানান,  কঙ্গোর কোডেকো জঙ্গিদের হাতে অপহৃত একজনকে বাঁচাতে গিয়ে ধরা পরে যান এক তরুণী৷ শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার৷ বার বার তাঁকে ধর্ষণ করে জঙ্গিরা। এর পর তাঁর চোখের সামনেই এক জনকে গলা কেটে মেরে ফেলেন৷ গলা কাটা নিথর দেহ থেকে খুবলে বার করে আনে অন্ত্র৷ তার পর সেটি এগিয়ে দেয় ওই তরুণীর দিকে৷ ওই অন্ত্রটি রান্না করার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে৷ রান্না করা ওই অন্ত্র জোর করে খাওয়ানো হয় ওই তরুণীকে৷ 

দিন কয়েক পর তাঁকে ছেড়ে দেয় কোডেকো জঙ্গিরা৷ সেখান থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন৷ কিন্তু, মাঝপথে অন্য এক জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে ফের  অপহৃত হতে হয় তাঁকে৷ সেখানেও ঘটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ বারবার গণধর্ষণের পর খাওয়ানো হয় মানুষের মাংস৷ কোনও ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন তিনি৷ 

জুলিয়েনের মুখ থেকে ওই তরুণীর জীবনের কথা শোনার পর কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি। গত দু’দশক ধরে কঙ্গোয় গৃহযুদ্ধ চলছে৷ পরিস্থিতি সামল দিতে সেখানে মোতায়েন রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনী৷ কিন্তু অশান্তি এখনও অব্যাহত৷