ঢাকা: বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে৷ একে বাংলাদেশের তরফে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে৷ মাঝে ৩২ দিন কেটে গিয়েছে৷ ৩৩ দিনের মাথায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার থেকেই পাড়ায় দোকান খুলে রাখার সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ হোটেল, রেস্তোরাঁতে রমজান মাস উপলক্ষে ইফতার বিক্রি৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড় বৃষ্টি হয়৷ সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককেউ ইফতারের জিনিস কিনতে দেখা যায়৷ অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা সোশ্যাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক দুরত্ব মানছেন না৷ যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে কোনও কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়নি৷ স্থানীয় দোকানি মহম্মদ আলতাফ হলেন, ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত খোলা রাখতাম৷ তারপর নিয়ম মেনে দুপুর দুটোর মধ্যে দোকান বন্ধ করে দিতাম৷ কিন্তু শনিবার থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছি৷ আমার মনে হয়, আরও একটু বেশি সময়, অর্থাৎ ইফতারের আগ পর্যন্ত দোকান খুলে রাখা প্রয়োজন৷ অনেক সময় ইফতারের আগে মনে পড়ে বাড়িতে কিছু জিনিস নেই৷ সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর হোটেল-রেস্টুরেন্টে ইফতার সামগ্রী বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে হোটেলের ভেতরে খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে ৫৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ করোনায় আর পাঁচ জন মারা গিয়েছেন৷ করোনায় বাংলাদেশে মোট ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ বাংলাদেশে করোনায় ৭,৬৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ বাংলাদেশে নতুন করে এক চিকিৎসকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ তিনি টাঙ্গাইল জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷