প্রতিটা মানুষেরই মনের ভেতর কিছু সুপ্ত ইচ্ছে থাকে। আর সেই ইচ্ছে পুরণের চেষ্টাতেই মানুষ কাটিয়ে দেয় তাদের সারাটা জীবন। কেউ পারে, আবার কেউ হয় তাদের জীবন যুদ্ধে অসফল। কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি রাখেনা কেউই। কিন্তু এই স্বপ্নপুরণের খেসারত যদি দিতে হয় প্রাণের বিনিময়, তাহলে?
ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটল সুদুর থাইল্যান্ডে। সমুদ্রের মাঝখানে ঘর বাঁধলে মিলবে মৃত্যুদন্ড। এই রায় জানালেন থাইল্যান্ড সরকার। ফুয়েত উপকুলের ঘন নীল সমুদ্রে ঘর বেঁধেছিলেন মার্কিন ও থাই যুগল। কিন্তু তাঁদের সুন্দর সংসারের স্বপ্ন স্থায়ী হল না বেশিদিন। চাড এলওয়ার্টওউস্কি ও সঙ্গিনী সুপ্রানি দেপডেটকে পেতে হল মৃত্যাদন্ডের মতো শাস্তি। সমুদ্রের মাঝে বাড়ি তৈরি করার জন্য যে তাঁদের এতো বড় ঝড়ের সম্মুখিন হতে হবে তা হয়তো তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি।
থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে সমুদ্রের মাঝে বাড়ি তৈরি করা আসলে বেআইনি। তাঁদের মতে সমুদ্রের মাঝে ঘর তৈরি করাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হয়। ফুকেতের গভর্নর জানাচ্ছেন যে তিনি প্রথম উদ্যোগ নিয়ে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। কারণ এই যুগল তাঁর সন্দেহের তালিকায় ছিল। তাঁর মতে এঁনারা হয়তো কোনো কারণে গা ঢাকা দেওয়ার জন্যই সমুদ্রের মাঝে এরকম ভাবে একটি বাড়ি তৈরি করেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার কারণেই সরকারের থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় । এই যুগল দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের মৃত্যুদন্ড আবশ্যিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই যুগল নাকি সি স্ট্যান্ডিং আন্দোলোনের সঙ্গে যুক্ত। এই সি স্ট্যান্ডিং আন্দোলন হল কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে যখন কেউ কোনো সমুদ্রতটে বসবাস করেন, তাই হল সি স্ট্যান্ডিং। যদিও এই বিষয় সেই যুগলের কাছ থেকে তেমন কোনোই তথ্য পাওয়া যায়নি।