নিউইয়র্ক: করোনাকাল কেউ মনে রাখতে চায় না। ২০১৯ সালের পর থেকে ২০২১ সালের শেষ সময় পর্যন্ত গোটা বিশ্ব কী কী সহ্য করেছে তার ব্যাখ্যা আলাদা করে দেওয়ার দরকার নেই। কোভিড বিভীষিকায় জর্জরিত সাধারণ মানুষের জীবন স্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই বিশ্ব পেয়েছে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন। আর সেই ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেন হাঙ্গেরি ও আমেরিকার ২ বিজ্ঞানী, কাতালিন কারিকো এবং ড্রিউ ওয়েইসম্যান। ২০২৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞান বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেলেন তারা।
নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, করোনাকালে গোটা বিশ্ব যখন ভয়ঙ্কর আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ই তারা টিকা তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পালন করেছেন। মূলত এমআরএনএ টিকা তৈরি করার ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে বরাবরই ‘ফেভারিট’ হিসেবে ছিলেন এই দুজন। অবশেষে তারাই বাজিমাত করলেন। দুজনের মধ্যে কাতালিন ২০২১ সাল থেকে সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এছাড়া যুক্ত আছেন পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও। অন্যদিকে আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনর সঙ্গে যুক্ত আছেন ড্রিউ ওয়েইসম্যান।
জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালেই করোনা টিকা তৈরির পথ দেখান এই দুই বিজ্ঞানী-গবেষক। তাদের ওই গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই এমআরএ প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম করোনা টিকা তৈরি করে ফাইজার-বায়োটেক এবং মডার্না। প্রসঙ্গত, এই টিকায় দুর্বল ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করা হয়। এই দুই বিজ্ঞানীর গবেষণার এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যানসার, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং হৃদরোগের মতো অসুস্থতার চিকিৎসা বের করার চেষ্টা চলছে।