আজ বিকেল: সারাজীবন যেমনটাই চলে চলুক বৃদ্ধ বয়সে অবলম্বনের প্রয়োজন থেকেই যায়। ভারতের মতো উপমহাদেশের জীবনযাত্রার সঙ্গে বিষয়টির সামঞ্জস্য আছে, তাইতো পিতা ধর্ম পিতা স্বর্গ, বা মায়ের পায়ের তলায় জান্নত। যেভাবে খুশি আপনি দেখতে পারেন। যেসব ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করাতে গিয়ে যৌবনের বেশিরভাগটাই বাবা-মা দায়িত্ব পালনে কাটিয়ে দিলেন। সেসব ছেলেমেয়েরাও স্বার্থপর হতে হতে খানিকটা মানবিকতা দেখিয়ে যায়, তাহল বৃদ্ধাশ্রম। কিন্তু পশ্চিমী সংস্কৃতিতে এসবের লেশ মাত্র নেই। সেখানে বয়স্ক বাবা-মাও আলাদাই থাকেন। সেখানেই বৃদ্ধার সহযোগিতায় এগিয়ে এলেন এক পুলিশকর্তা।
বিদেশে ক্রিসমাস, ইস্টারে ছেলেমেয়েরা বা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায়। বৃদ্ধ বাবা-মা যদি চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তাহলে কী পরিস্থিতি হয় ভেবে বুক কাঁপছে। ভারতের মতো দেশে তথাকথিত আধুনিক সর্বস্ব মানুষজন অশীতিপর বাবা-মাকে ফ্ল্যাটে চলে যায়, পড়শিরা কেউ জানেন না পাশের ঘরে কে থাকেন। অসুস্থ মানুষটি না খেতে পেয়ে মারাও যেতে পারেন, এমন যে ঘটে না তা নয়। তবে যে বিদেশীদের পারিবারিক সংস্কৃতি দেখে ভারতীয়রা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে, তারাই দেখুক বিদেশের পুলিশ কত মানবিক। মহিলার বাগানের ঘাস কেটে দিচ্ছেন পুলিশ অফিসার, এমন ঘটনা মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব উঠে আসেনি। এমনই একটি খবর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এটা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তাও তাঁর এলাকার এক মহিলার বাগানের সামনের অংশের ঘাস কেটে দিলেন ওরোনো পুলিশ বিভাগের এক কর্তা ম্যাট সিলাটালা। যে ছবি প্রকাশ্যে আসার পর, ম্যাট রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ার হিরো হয়ে গিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরোনো পুলিশ বিভাগ একটি ছবি পোস্ট করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিশকর্তা গ্যাস চালিত ঘাস কাটার যন্ত্র দিয়ে ঘাস কাটছেন।
জানা গিয়েছে, পুলিশকর্তা ম্যাট ওই মহিলার বাড়িতে যান। ওই মহিলা ভালই ছিলেন। কিন্তু অফিসার তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, বাড়ির সামনে ঘাস কাটেননি কেন? মহিলা জানান তাঁর বাগানের এই ঘাস কেটে দেওয়ার কেউ নেই। এর পরই তিনি বাগানের বড় হয়ে যাওয়া ঘাস নিজেই কেটে দেন।