দ্য হেগ: কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড মামলায় বড়সড় জয় পেল ভারত৷ আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে রায়ে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে হবে পাকিস্তানকে৷ কিন্তু, জানেন কী? কুলভূষণের হয়ে মামলা লড়তে কত টাকা নিয়েছেন ভারতীয় আইনজীবী?
হরিশ সালভে৷ দেশের একমাত্র আইনজীবী, যিনি সবচেয়ে বেশি টাকা বেতনের ভিত্তিতে মামলা লড়াই করেন৷ ভারতের সংবিধানে বাণিজ্য ও কর সংক্রান্ত আইনে তিনি সাম্মানিক ও বিশেষজ্ঞ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনেও অসম্ভব পারদর্শী৷ তাই তার উপর নির্ভর করে থাকেন দেশের তাবর তাবর শিল্পপতি থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জনেরা৷ বর্তমানে কুলভূষণ যাদবের মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে তিনিই ছিলেন ভারতের ভরসা৷ শুনলে অবাক হবেন এই মামলা মাত্র ১ টাকা ফিসের বিনিময় লড়ছেন দেশেই নামজাদা ও সম্মানীয় আইনজীবী হরিশ সালভে৷
কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড মামলায় বড়সড় জয় পেল ভারত৷ আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে রায়ে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে হবে পাকিস্তানকে৷ কুলভূষণকে নিজের স্বপক্ষে সওয়াল করার সুযোগ দিতে হবে৷ ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের দেখা করতে দিতে হবে পাক সরকারকে৷ আজ, দ্যা হেগ শহরের আন্তর্জাতিক আদালতের ১৫-১ ভোটে জয় হয় ভারতের৷ আদালতের এই রায়ে স্বাভাবিক ভাবেই বিপাকে পড়ল পাকিস্তান সরকার৷
পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদব মামলার রায় ঘোষণা ছিল আজ হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে৷ ভরাত-পাকিস্তানের মধ্যে অন্যতম বড় বিবাদ ঝুলে ছিল আন্তর্জাতিক আদালতে৷ মামলায় ভারতের তরফে তিনটি দাবি জানানো হয়৷ কুলভূষণকে অপরাধমুক্ত ঘোষণা ও তাঁর মুক্তি এবং দেশে ফেরানো দাবিতে ভারতের তরফেও একাধিকবার সওয়াল করা হয়৷ আজ রায় ঘোষণা পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করতে হবে পাকিস্তানকে৷
কুলভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আগেই আন্তর্জাতিক আলাদতে জানিয়েছে ভারত৷ ভারতের দাবি উড়িয়ে পাকিস্তানের অভিযোগ, কুলভূষণ গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত৷ অন্তর্ঘাত ও সন্ত্রাসের লক্ষ্য ছিল তাঁর৷ কুলভূষণকে নিয়ে দাবি, পাল্টা দাবির জেরে ২০১৭ সালে ভারত আন্তর্জাতিক আলাদতে মামলা দায়ের করে৷ পাকিস্তানে সামরিক আদালতে তাঁর বিচার হয়৷ তাঁকে তাঁর পছন্দের আইনজীবী নিয়োগের স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি৷ এই মামলার ফলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড আটকে যায়৷
২০১৬ সালের ৩ মার্চ ইরান থেকে পাকিস্তান সীমান্ত পেরোনোর সময় কুলভূষণ যাদব ধরা পড়েন বলে জানিয়েছিলেন পাক প্রশাসন৷ চরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে পাক সামরিক আদালতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়৷ এরপরেই কুলভূষণ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত৷ কূলভূষণ চর নন বলে দাবি করেছে ভারত৷ ২০১৭ সালে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের সাজায় স্থগিতাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত৷