আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের গুরুতর অসুস্থ। বাংলাদেশের শাসক দলের অন্যতম এই নেতার স্বাস্থ্যের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা।
এক জরুরি সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা জানান ওবাইদুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সঈদ আলি আহমেদ জানিয়েছেন, কাদিরকে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তার আগে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে আলি আহমেদ আরও জানান, কাদেরকে অনত্র সরানো হলে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে পারে। স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ কথা জানানো হয়। আলি আহমেদ বলেন, কাদেরের ডানদিকের করোনারি আর্টারিতে একশো শতাংশ ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছে। আরও দুটি জায়গায় ৮০ শতাংশ ও ৯৯ শতাংশ ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাদেরের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস রয়েছে। ইলেক্ট্রোলাইটেরও ভারসাম্যের অভাব রয়েছে। রক্তচাপ ওঠানামা করছে। আমরা তাঁর শরীরে আইবিপি স্থাপন করতে বাধ্য হই। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ কাদিরকে দেখতে হাসপাতালে যান। তখন কাদের চোখের পাতা খুলেছিলেন। কাদের তাঁর পা সামান্য নাড়াতে পারছেন। বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর সাড়়ে তিনটে নাগাদ ওবাইদুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের সভাপতি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ স্বয়ং।
অসুস্থ কাদেরের পাশে তিনি কিছুক্ষণ সময় কাটান।বাংলাদেশের সড়ক, পরিবহণ ও সেতু-বিষয়ক মন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ফজর প্রার্থনার পর শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা জানান। তাঁকে এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই কাদেরকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সংসদের স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরিও কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান আওয়ামি লিগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, শাসক জোটের নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রিসভার বহু সদস্য। কাদেরের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে হাসপাতালে উপস্থিত হন আওয়ামি লিগের কর্মী ও সমর্থকরা।