ফিলিপিন্স: দিনকয়েক আগেই বিশ্বজুড়ে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালিত হল৷ আর তার কিছুদিন পরই সামনে এল এমন এক প্রেম কাহিনি৷ প্রথমত, আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত তোমাকেই চাই… কবীরের সুমনের গানের লাইনটা মনে হয় যর্থার্থ এই যুগলের জন্য৷ অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে তাঁরা সাত পাঁকে বাঁধা পড়তে চলেছেন৷ থুড়ি! সুদূর ফিলিপিন্সের মাটিতে চার্চে ফাদারের সামনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন এই প্রৌঢ়-যুগল৷
সত্যিকারের ভালোবাসার সামনে সবকিছুই নাকি ফিকে! সব বাধা পেরিয়ে সত্যিকারের ভালোবাসা যে পূর্ণতা পায়ই, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন ফিলিপিন্সের বাসিন্দা ৫৫ বছরের রোমেল ব্যাস্কো এবং ৫০ বছরের রোজালিন ফেরার৷ এতদিন অত্যন্ত অভাব কষ্টে তাঁদের ভালোবাসা পরিণতি পায়নি। জীবনের প্রায় মধ্যগগনে এসে এই প্রৌঢ় যুগল তাঁদের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। তাঁদের সম্পর্ক বহুদিনের। রোজালিন ছয় সন্তানের মা। কিন্তু রোজকার খাবার জোগাড় করতে গিয়ে আর বিয়ের ভাবনাকে মাথায় স্থান দিতে পারেননি তাঁরা৷
এই প্রৌঢ় যুগলকে দীর্ঘদিন ধরেই চোখে চোখে রাখছিলেন তাঁদের প্রতিবেশী রিচার্ড স্ট্র্যান্ড। তিনিই জানান, রাস্তার ধারে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, জঞ্জাল বেচে তাঁরা কোনওক্রমে নিজেদের পেট চালান৷ তাঁদের দেখে রিচার্ডেরও হয়তো মায়া হয়৷ রিচার্ড তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিয়ের জন্য একটি আলাদা ফান্ডও তৈরি করেন তিনি। চার্চে গিয়ে বিয়ে হবে তাঁদের। রোজালিন জানান, ছোট থেকেই তাঁর সাদা গাউন পরে বিয়ে করার শখ ছিল। কিন্তু অভাবের কারণে সেই শখের কথা তিনি ভুলতে বসেছিলেন। তাঁর এক উপকারী প্রতিবেশীর সৌজন্যে এত বছর পর সেই শখ পূরণ হতে চলেছে৷ এটা তাঁর কাছে যেন স্বপ্নের মতো৷ তিনি সেই স্বপ্নের ঘোর কাটার আশায় দিন গুনছেন, যা শুধু কিছু সময়ের আপেক্ষা৷