হ্যাপি ফাদার্স ডে… জানুন এই দিনের তাৎপর্য!

হ্যাপি ফাদার্স ডে… জানুন এই দিনের তাৎপর্য!

6f54dc8815fe302388d87d39ec45568a

নয়াদিল্লি:  বাবা। দুটি বর্ণের শব্দ কিন্তু অর্থ সুবিশাল। ছাতা হয়ে যে মানুষটা পরিবারের সবাইকে আগলে রাখেন, আজকের দিনটা তার জন্য। কারণ, আজ ফাদার্স ডে, বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিনটি ফাদার্স ডে হিসেবে পালিত হয়।  মাদার্স ডের তুলনায় ফাদার্স ডে-র ভাবনা তুলনামূলক নতুন। তবে কিভাবে প্রচলন হল দিনটির?

আসলে পিতৃ দিবস উদযাপনের নেপথ্যে একাধিক গল্প রয়েছে, তবে যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল- ১৯১০ সালে ওয়াশিংটনে প্রথম পালিত হয় ‘ফাদার্স ডে। সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক মহিলা দিনটিকে প্রথম উদযাপন করেন। সোনোরা খুব কম বয়সে মাতৃহারা হন। মায়ের অবর্তমানে তাঁর বাবা সোনেরা সহ বাকি ভাইবোনদের একাহাতে বড় করেন। বাবার সেই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে ‘ফাদার্স ডে’ পালন করার সিদ্ধান্ত নেন সোনোরা। এবিষয়ে জানাতে তিনি গির্জা এবং স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

সোনোরার ইচ্ছে ছিল ৫ জুন তারিখে ‘ফাদার্স ডে’ হিসেবে পালন করার। কারণ, ওই দিনটি ছিল তাঁর বাবার জন্মদিন। কিন্তু, জুন মাসের ১৯ তারিখ পালিত হয় ‘ফাদার্স ডে’। পরবর্তীতে, ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার দিনটিকে ‘ফাদার্স ডে  হিসাবে পালন করার ঘোষণা করেন। ৬ বছর পর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করেন।

আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছেই মাদার্স ডে বা  ফাদার্স  দিবস পালনের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো একেবারেই যে অপ্রয়োজনীয়, তেমনটা কিন্তু নয়। একটা পরিবারকে গড়ে তুলতে বাবা-মায়ের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনই পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে এই দিবসগুলিরও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সমস্ত ব্যস্ততা ভুলে বছরের একটা দিন যদি বাবা-মায়ের জন্য ‘বিশেষ’ করে তোলা যায়; তাহলে ক্ষতি কোথায়? তাই আজকের দিনটা শুধু বাবার জন্য…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *