দুর্গাপুজোয় তাণ্ডব! ‘হামলাকারীরা পার পাবে না’, হুঁশিয়ারি হাসিনার

দুর্গাপুজোয় তাণ্ডব! ‘হামলাকারীরা পার পাবে না’, হুঁশিয়ারি হাসিনার

ঢাকা: বাংলাদেশে দুর্গাপুজো মণ্ডপগুলির উপর আক্রমণ অব্যাহত এবছরেও। তবে, শেখ হাসিনা সরকার কড়া হাতে দুষ্কৃতীদের দমন করার চেষ্টা করছে। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সে দেশের অগ্রণী সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পুজো মণ্ডপগুলিতে হামলা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শুক্রবার – বিজয়া দশমীর দিন সকালেও ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ নিজে থেকেই হয়ে দুটি মামলা করেছে। বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। পিছু হটেছে দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় রয়েছে পুলিশ এবং বিজিবি’র জওয়ান’রা। শান্তি রক্ষার প্রচেষ্টায় কমতি রাখছেন না তারা। অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে – জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্ম যার যার। উৎসব সবার। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এখানে সকলে উৎসবে শামিল হন। কিন্তু কিছু দুষ্টচক্র এই মিলনকে নষ্ট করতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি দুষ্টচক্র বলতে কাদের বোঝাতে চেয়েছেন। তথ্যভিজ্ঞ মহলের অনেকেই মনে করেন তিনি বি এন পি এবং জামাতের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

কুমিল্লার ঘটনা ‘অত্যন্ত দূর্ভাগ্য জনক’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগে কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার ব্যাপক তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই এবং আমরা তা করতে পারব। কারণ, এখন প্রযুক্তির যুগ। এটা বের করা যাবে এবং সে যে–ই হোক না কেন, যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। আর আমরা তা করেছি এবং করব।”

কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তার জেরে বুধবার হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। চারজন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার পর থেকেই, রাত ১১টা থেকে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিকে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা বিষয়ে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আরও কয়েকটি মামলা করার কথা থাকলেও এখনো তারা কোনো মামলা করেনি। পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ভদ্র বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের চেনার চেষ্টা করছি। তারপর এই মামলা করব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *