বেজিং: করোনা ভাইরাসে ক্ষত বিক্ষত চিন৷ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দূর করে সবে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে৷ এই পরিস্থিতিতে উহানে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে৷ গত তিন দিনে একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ যখনও উহানেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমছে৷ উহান থেকে লক ডাউন সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে প্রশাসন, তখন নতুন উপদ্রব দেখা গেল৷ নতুন করে চিনে ফিরে এল হান্টা ভাইরাস৷ তাও আবার উহানে৷
ফের নতুন এক ভাইরাসের কবলে পড়ল চিন। অজানা ‘হান্টা ভাইরাস’ নামে এই জীবানু আবার আঘাত করছে চিনে। এই ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু হল আবার উহানেরই এক নাগরিকের। মূলত ইঁদুর ও কাঠবেড়ালি খাওয়ার জন্যই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, সোমবার চিনের শানডং প্রদেশ থেকে বাস করে বাড়ি ফিরছিলেন উহানের এক ব্যক্তি। মাঝ রাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে শারীরিক পরীক্ষার পরে তাঁর দেহে হান্টা নামে ওই ভয়ংকর ভাইরাসের সন্ধান মেলে। এরপরই ওই বাসে থাকা ৩২ যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সূত্রে খবর, ভাইরাসটি করোনার ভাইরাসের মতো মারাত্মক নয়। এটি বায়ু দ্বারা ছড়িয়ে যায় না। এটি ইঁদুর বা কাঠবিড়ালি দ্বারা মানুষের সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের মতে, ‘ঘরের ভিতরে ও বাইরে ইঁদুর হান্টা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি যদি কোনও স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিও থাকে এবং তারা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে, তবে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এই রোগে আক্রান্তদের হান্টা পালমোনারি সিনড্রোম ও রেনাল সিনড্রোমের সঙ্গে জ্বরও হবে। শারীরিক ক্লান্তি, জ্বর এবং মাংসপেশীতে ব্যথা-সহ মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, ঠান্ডা লাগা এবং পেটের সমস্যাতেও ভুগবেন তিনি। তারপরেও যদি কোনও চিকিৎসা না করা হয় তাহলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও প্রচণ্ড কাশি শুরু হবে।