রোম: নতুন রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পুরো ইতালিতে চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি জনসমাগম নিষিদ্ধ করার মত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর ফলে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সব থেকে সঙ্কটে রয়েছে ইউরোপের ইতালি। দেশটির সাড়ে ছয় কোটি মানুষ কার্যত অবরুদ্ধ দশার মধ্যে পড়লো।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে সোমবার নাগরিকদের যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কারও জরুরি কারণে দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন থাকলে সেজন্য আগে থেকে অনুমতি নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, তাদের সুরক্ষার জন্যই এ কড়াকড়ি। এখন আর অপেক্ষা করার ‘সময় নেই’।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩৬৬ জন থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে নয় হাজার। চীনের মূল ভূখণ্ড বাদ দিলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে ইতালির ২০টি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। রবিবারের তুলনায় সোমবার নতুন রোগী বেড়েছে ২৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী কন্তে বলেন, “সবচেয়ে ভালো হয় যদি আমরা যার যার ঘরেই থাকি। সংক্রমণের হার আর মৃত্যু অনেক বেড়ে গেছে। পুরো ইতালিকে এখন একটি সুরক্ষিত এলাকায় পরিণত করতে হবে। ইতালির ভালোর জন্যই আমাদের সবাইকে এটা মানতে হবে।”
ইতালি সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কারাগারে দর্শনার্থীদের সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করার পর সোমবার মদেনা শহরের এক জেলখানায় দাঙ্গা বাঁধে। তাতে অন্তত সাতজন কয়েদির মৃত্যু হয়।
মিলানের এক কারাগারে বন্দিরা সেলের ভেতরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে জানালা বেয়ে ছাদে ওঠে এবং রীতিমত ব্যানার দেখিয়ে সাহায্য চাওয়া শুরু করে। ফজ্জিয়া শহরেও এক কারাগারে বন্দিরা জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এখনও ধরা যায়নি।