স্ত্রী-অঙ্গেই ভূতের বাসা, বিপদে পড়লেন ওঝা!

ভূত কোথায় থাকে— এই নিয়ে প্যারানর্মাল তত্ত্ববিদদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তাই বলে কোনও মহিলার গোপনাঙ্গে বাসা বেঁধেছে ভূত, এমন নিদান তাঁরা কখনও দিয়েছেন বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ফ্রিক লোর’-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের গুয়াংডং প্রদেশের বাসিন্দা এক স্বঘোষিত প্রেততত্ত্ববিদ জিনজুয়ান আ জিন নামের এক মহিলাকে তেমনটাই জানান। সেই

স্ত্রী-অঙ্গেই ভূতের বাসা, বিপদে পড়লেন ওঝা!

ভূত কোথায় থাকে— এই নিয়ে প্যারানর্মাল তত্ত্ববিদদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তাই বলে কোনও মহিলার গোপনাঙ্গে বাসা বেঁধেছে ভূত, এমন নিদান তাঁরা কখনও দিয়েছেন বলে মনে হয় না।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ফ্রিক লোর’-এ প্রকাশিত এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের গুয়াংডং প্রদেশের বাসিন্দা এক স্বঘোষিত প্রেততত্ত্ববিদ জিনজুয়ান আ জিন নামের এক মহিলাকে তেমনটাই জানান। সেই সঙ্গে এই ভূত তাড়ানোর জন্যে এমন এক নিদান দেন, যার ফল গড়ায় অনেক দূর। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে। আ জিন সেই সময়ে একটি মশলার দোকানে কাজ করতেন। সেখানে তাঁর বসের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। বসকে বশীকরণ করার জন্য তিনি ওঝা জিনজুয়ানের দ্বারস্থ হন। জিনজুয়ান তাঁকে বোঝান, তাঁর যৌনাঙ্গে নিশ্চিত ভাবে কোনও দুষ্ট আত্মা বাসা বেঁধেছে। এ থেকে বাঁচতে হলে তাঁকে শরণ নিতে হবে জিনজুয়ানের পুরুষাঙ্গের। একমাত্র তা দিয়েই তাড়ানো সম্ভব আ জিনের স্ত্রী-অঙ্গের ভূত।

এই সব বুঝিয়ে জিনজুয়ান আ জিনকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে পোশাক খুলতে বলেন। তার পরে তাঁর সঙ্গে মিলিত হতে বলেন। এই মিলনের ফলেই ভূত ভাগবে আর আ জিনের বস তাঁর প্রেমে পড়ে যাবেন— এমনটাই দাবি ছিল জিনজুয়ানের। জিনজুয়ানের উদ্দেশ্য বুঝে কোনও মতে সেখান থেকে পালান আ জিন। পরে তিনি জিন জুয়ানের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ আনেন। পুলিশ জিনজুয়ানকে সেই সময়েই গ্রেফতার করে। জিনজুয়ান অবশ্য পুলিশকে জানান, তিনি ডায়াবেটিসে পুরুষত্বহীন। তিনি কী করে এক মহিলাকে এমন প্রস্তাব দেবেন! সেই থেকে আদালতে শুরু হয় চাপান-উতোর। সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন স্বঘোষিত ওঝা জিনজুয়ান, এমনটাই জানিয়েছে ‘ফ্রিক লোর’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *